ঢাকা | বঙ্গাব্দ | আজকের ভিজিটর: 20,8,329,00

আগামী নির্বাচন স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হলে বিএনপি সরকার গঠন করবে ------- এবিএম মোশাররফ হোসেন।।

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Oct 13, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন:
ad728

মিজানুর রহমান রিপন: কলাপাড়া (পটুয়াখালী)।

পটুয়াখালীর মহিপুর থানার মুসুল্লিয়াবাদ মাদ্রাসা মাঠে লতাচাপলী ইউনিয়ন বিএনপি'র উদ্যোগে এক নির্বাচনী জনসভা অনুষ্ঠিত হয়। 

গতকাল শনিবার (১১ অক্টোবর) বিকাল ৩.০০ টার পর এ নির্বাচনী জনসভায় লতাচাপলী ইউনিয়ন বিএনপি'র সভাপতি মহিউদ্দিন মুসুল্লী সুলতান এর সভাপতিত্বে  প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি'র) কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন। হাজার হাজার নারী পুরুষের উপস্থিতে এ নির্বাচনী জনসভায় এবিএম মোশাররফ হোসেন বলেন, বাংলাদেশে বড় দুটি রাজনৈতিক দল যার একটি বিএনপি ও অন্যটি আওয়ামীলীগ।গত এক বছর দুই মাস আগে ৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ নেত্রী শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে গেছে। তার সাথে আওয়ামীলীগের এমপি মন্ত্রীরা পালিয়েছে। তাদেরকে এখন আর কোথাও দেখা যায় না। সুতরাং এ দেশে এখন বিএনপি'র লোকজন মাঠে আছে। আগামী জাতীয় নির্বাচনে মানুষ বিএনপি কে, ধানের শীষে ভোট দিবে। কারণ ৫ আগষ্টের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর মানুষের জানমালের নিরাপত্তা, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের লোকদের নিরাপত্তা,সকল এলাকায় বাজার- বন্দরের ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা সহ সাধারণ মানুষের পাশে বিএনপি ছিল এবং এখনো জনগণের পাশে বিএনপি'র নেতা-কর্মীরা আছে। যেকোনো সমস্যা হলে মানুষ বিএনপি'র কাছে সমাধানের জন্য আসে । এমনকি প্রশাসনের লোকজন  তাদের যেকোনো সহযোগিতায় বিএনপিকে সবসময় কাছে পায়। চরমোনাই বা জামায়াতের কাছে মানুষ যায় না এবং যেকোনো সমস্যা তারা সমাধানও করতে পারে না। আগামী নির্বাচন যদি স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য হয় এবং জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে তাহলে মানুষ এবার বিএনপিকে ধানের শীষে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে।বিএনপি সরকার গঠন করলে আমাদের নেতা তারেক রহমান প্রধানমন্ত্রী হবেন ইনশাল্লাহ্।

মোস্তাফিজুর রহমান সম্পর্কে তিনি বলেন, বিএনপি তাকে দুই বার উপজেলা চেয়ারম্যান বানিয়েছে। ঐ দশ বছরে সে এই মুসুল্লিয়াবাদ মাদ্রাসায় একটি ইটের কাজও করে নাই। তিনি কলাপাড়া উপজেলার কোনো উন্নয়ন করে নাই। তার নির্বাচনের সময় আমি সহ বিএনপি'র নেতা-কর্মীরা পরিশ্রম করে তাকে নির্বাচিত করি। অথচ মোস্তাফিজুর রহমান এখন বিএনপি ছেড়ে চরমোনাই দলে গিয়েছে। তিনি একজন লোভী, স্বার্থপর ও সুবিধাবাদী লোক। চরমোনাই ও জামায়াত এখন মানুষ কে ভুল বুঝিয়ে ভোটের মাঠে জান্নাতের টিকিট বিক্রি করছে। এদেশের মানুষ এখন তাদের ধোঁকাবাজি বুঝে গেছে।তারা জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হতে পারবেনা বিধায় পিআর পিআর করে চিল্লায়। মানুষ যাকে দেখে শুনে, ভালো মন্দ, গ্রহনযোগ্য,সৎ ব্যক্তিকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। কিন্তু পিআর পদ্ধতিতে প্রার্থী নয় প্রতীকে ভোট হয়। বাংলাদেশে পিআর পদ্ধতিতে কখনো নির্বাচন হবে না, আমাদের প্রচলিত পদ্ধতিতে প্রার্থীকে তার প্রতীকে ভোট দিবে।

বিএনপি'র এ কেন্দ্রীয় নেতা আরো বলেন, আমি যখন ছাত্র রাজনীতি করি তখন আমাদের চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে আমি কলাপাড়া উপজেলার মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজ মাঠে নিয়ে এসেছি। এছাড়াও বন্যার পর কলাপাড়া হাইস্কুল মাঠে নিয়ে এসেছি। তখন ম্যাডাম এই কুয়াকাটার পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন , বিদ্যুৎ সরবরাহ এবং কলাপাড়ার তিনটি ব্রীজ নির্মাণের ব্যবস্থা করেছেন,যাহা পরবর্তীতে আওয়ামীলীগ সরকার উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, আমি কলাপাড়া উপজেলা সভাপতি থাকাকালীন কলাপাড়া হতে বালিয়াতলী হয়ে আলীপুর, কুয়াকাটা রাস্তা নির্মাণ করেছি। এ সবকিছু বিএনপি'র অবদান। বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময় আমি, আজিজ মুসল্লী সহ বিএনপি'র অনেক নেতা কর্মী তাদের দ্বারা নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। আমরা কেউ কলাপাড়া ও দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাইনি। আওয়ামী সরকারের সময় জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। এখন সময় এসেছে জনগণ তাদের যোগ্য প্রার্থীকে ভোট দিবে। সেজন্য বিএনপি যদি আমাকে মনোনয়ন দেয় ধানের শীষে ভোট দিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী করার জন্য আপনাদের সমর্থন প্রত্যাশা ও প্রার্থনা করি। আগামী নির্বাচনে আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে এ এলাকার রাস্তা ঘাট, ব্রীজ, কালভার্ট, পর্যটন শিল্পের উন্নয়ন সহ যাবতীয় উন্নয়ন মূলক কাজ ত্বরান্বিত করতে আমি সচেষ্ট থেকে আপনাদের পাশে থাকব।

মুসুল্লীয়াবাদের এ নির্বাচনী জনসভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আরো বক্তব্য রাখেন কলাপাড়া উপজেলা বিএনপি'র সভাপতি হাজী হুমায়ুন সিকদার, কলাপাড়া উপজেলা বিএনপি'র সহ-সভাপতি ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার,সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান চুন্নু, মহিপুর থানা বিএনপি'র সভাপতি আঃ জলিল হাওলাদার, কুয়াকাটা পৌর বিএনপি'র সভাপতি আঃ আজিজ মুসল্লী, কলাপাড়া পৌর বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক মুসা তৌহিদ নান্নু মুন্সি, মহিপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ ফজলু গাজী, মহিপুর থানা বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শাহজাহান পারভেজ, কুয়াকাটা পৌর বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান হাওলাদার, লতাচাপলী ইউনিয়ন পরিষদ ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান হাওলাদার প্রমুখ।
এছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন মহিপুর থানা বিএনপি , কুয়াকাটা পৌর বিএনপি এবং লতাচাপলী ইউনিয়ন বিএনপি'র অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এ নির্বাচনী জনসভা টি সঞ্চালনা করেন লতাচাপলী ইউনিয়ন বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক সেলিম হাওলাদার।
এর আগে বিএনপি'র কেন্দ্রীয় এ নেতা লতাচাপলী ইউনিয়নের মোম্বিপাড়ায় আগুনে পুড়ে যাওয়া দোকান মালিকদের ছয় জন কে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Prothom Bulletin

কমেন্ট বক্স