নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সবুজবাগ থানা শ্রমিক লীগের সহ-সভাপতি দূর্নীতিবাজ, ভূমি দখলকারী, ফ্ল্যাট দখলকারী, রুহুল আমিন প্রশাসনের নাকের ডগায় প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ালেও তার বিরুদ্ধে এখনো কেন নেওয়া হচ্ছেনা আইনানুগ ব্যবস্থা? সে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শিক্ষার্থীদের বাঁধা-বিপত্তি, নির্যাতন ও আন্দোলনে অংশ নেওয়া এই আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। এতে হতাশা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ছাত্র আন্দোলনে অংশগ্রহণ করা শিক্ষার্থী ও নিহতের পরিবারবর্গ। এই রুহুল আমিন জনতা ব্যাংকের লোন অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। দলের প্রভাব খাটিয়ে ঐ ব্যাংকে তিনি সিবিএ নেতা হয়েছিলেন। সেখান থেকেই তার টাকার উৎস চলে আসে। লোন করে দেওয়ার নামে বিভিন্ন লোকের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছে কোটি কোটি টাকা। সরকার পতনের পর থেকে অবৈধ টাকা দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় স্ত্রী সন্তানদের নামে ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় ফ্ল্যাট এবং জমি ক্রয় করেন। ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে ক্ষমতায় থাকাকালীন বিএনপি পন্থি ব্যাংক কর্মকর্তাদের সিবিএ নেতার কোন দায়িত্ব পালন করার সুযোগ দেয়নি। তাদের সাথে করেছে অসৌজন্যমূলক আচরণ এবং করেছে ব্যাংকের দালালি। অবৈধ ভাবে এতকিছু করার পরেও ব্যাংকের দালালি বন্ধ হয়নি এবং রয়েছে বহাল তবিয়তে। লোন করিয়ে দেওয়ার নামে বিভিন্ন জায়গা ও ব্যক্তির কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে মোটা অংকের টাকা। যাহা সকল কিছুর তদন্ত করে তাহার ব্যাংক এ্যাকাউন্ট জব্দ সহ ফ্ল্যাটের হিসাব নিলে এই নেতার সবকিছু বেরিয়ে আসবে বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের অভিমত।
নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একজন ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, তার পারিবারিক কতটুকু শিক্ষা আছে জানিনা, তবে ক্ষমতায় থাকাকালীন মানুষকে মানুষ মনে করেন নি। তার লোক সমাজে বিচার হওয়া উচিৎ।
সবুজবাগ থানা বিএনপি একজন নেতা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, এই নেতার আপদমস্তক উশৃঙ্খল। তার আচরণে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ ছিল। এখনো চুপে চুপে ঘুরে বেড়াচ্ছে আর ব্যাংকের দালালি করছে। তাকে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।