স্টাফ রিপোর্টার
টাঙ্গাইলের কালিহাতী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ জাকির হোসেন অপরাধ নিয়ন্ত্রণে সুনাম অর্জন করেছেন। অল্প সময়ের ব্যবধানে তিনি এলাকাবাসীর কাছে প্রিয় পুলিশ কর্মকর্তা হয়ে উঠেছেন।
অপরাধ দমনের মাধ্যমে উপজেলায় শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখতে কাজ করে একজন কৌশলী পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে পরিচিতি পেয়েছেন। সন্ত্রাস, মাদক, জুয়া, ইভটিজিং, নারী নির্যাতন, চোরাচালান, পারিবারিক কলহসহ বিভিন্ন অপরাধ ঘটার সঙ্গে সঙ্গে তিনি সেবাপ্রার্থীদের সহযোগিতা করছেন এবং করবেন।
জানা যায় , মোঃ জাকির হোসেন কালিহাতী থানায় যোগদানের পর তার কিছু ব্যতিক্রম উদ্যোগে পাল্টে যায় বাগমার উপজেলার দৃষ্টিপট। তিনি যোগদান করেই থানাকে ঘুষ ও দালালমুক্ত ঘোষণা করে সাধারণ মানুষের জন্য পুলিশি সেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ শুরু করেন। তার কিছু দিনের চেষ্টায় এ অঞ্চলে সন্ত্রাস ও সামাজিক অপরাধ কমে এসেছে।
এ ছাড়া কালিহাতী থানার দায়িত্ব নিয়েই সন্ত্রাস ও নাশকতার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করে অভিযান শুরু করেন।
সন্ত্রাসীদের বিষয়ে ওসি মোঃ জাকির হোসেন বলেন, ‘থানায় এসে আত্মসমর্পণ করতে হবে, নয়তো থানা ছেড়ে চলে যেতে হবে, অন্যথায় গ্রেপ্তার করার চেষ্টা অব্যহত থাকবে।
দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেউ পুলিশের কঠোর অবস্থানের ফলে ৫ আগস্টের পরে কালিহাতী উপজেলা অনেকটা স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে।
ওসি মোঃ জাকির হোসেন প্রায় রাতেই উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ডিউটিরত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। পৌরসভা সহ উপজেলার ক্রাইম জোন হিসেবে চিহ্নিত স্পটগুলোতে প্রতি রাতে নিজে পুলিশের গাড়ি নিয়ে টহল দেন।
থানায় যোগদানের কিছু দিনের মধ্যে সাংবাদিক ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে বসে তিনি বিভিন্ন এলাকার সামাজিক নেতৃত্বের তালিকা করেন। এরপর থেকে তিনি ওই সব সামাজিক নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। সামাজিক কোন্দল ঠেকাতে তার এ উদ্যোগ।
ওসি মোঃ জাকির হোসেন থানায় যোগদানের পরপরই পুলিশের কর্মকাণ্ডে ব্যপক পরিবর্তন এনেছেন। আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নের পাশাপাশি মানুষের দ্বারপ্রান্তে পুলিশের সেবা পৌঁছে দিতে বিট পুলিশিং কার্যক্রমের ব্যাপক প্রসারের জন্য কাজ করছেন। কিছুটা কমে গেছে মিথ্যা মামলা দায়েরের প্রবণতাও। শোষিত, নির্যাতিত, সম্পদের ভাগ-বণ্টন, পারিবারিক ছোট-বড় যেকোনো সমস্যায় সাহায্য নিতে থানায় আসা ব্যক্তিদের সততা-নিষ্ঠা ও ধৈর্যের সঙ্গে হাসিমুখে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
থানায় সেবা নিতে আসা উপজেলার বাসিন্দা সারোয়ার জাহান জানান‘এত সুন্দর মন মানসিকতার ওসি এর আগে আমরা পাইনি’, তাকে কখনও পুলিশ মনে হয় না। মনে হয় আমাদের পরিবারেরই একজন। তবে কঠিন এবং কোমল দুটো রূপই তার রয়েছে। অপরাধীদের কাছে তিনি আতঙ্ক।’
আরেক সেবা প্রার্থী আমিনুল ইসলাম বলেন ‘একটা সময় ছিল যখন সবাই মনে করতেন, থানা মানেই হয়রানি আর ঘুষের কারবার। কিন্তু আমাদের সেই ধারণা এখন পাল্টে গেছে। থানাকে এখন সবচেয়ে বড় ভরসার জায়গা মনে হচ্ছে। এটার কৃতিত্ব নিঃসন্দেহে বর্তমান ওসি সাহেবের।