ঢাকা | বঙ্গাব্দ | আজকের ভিজিটর: 5,171,868

দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী হয়েও রয়েছে বহাল তবিয়তে

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Oct 2, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন:
ad728


ফ্যাসিস্ট সরকারের দূর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষক মজিবুর রহমান হত্যা মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী হয়েও রয়েছে বহাল তবিয়তে

স্টাফ রিপোর্টার :


৫ই আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ফ্যাসিবাদী স্বৈরাচারী সরকারের পতন হলেও গত ১৬ বছরে তৈরি হওয়া স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদ গোষ্ঠীর অপতৎপরতা এখনো ভান্ডারিয়া থানা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম মজিবুর রহমান সক্রিয় রয়েছে। তার বিরুদ্ধে ঢাকা বাড্ডা থানায় একটি হত্যা মামলা রয়েছে। মামলা নং- ২১, তারিখ: ২৫ নভেম্বর, ২০১৪ ইং, ধারা ৩০২/১০০/১৪৯/৩২৩/৩৪ প্যানেল কোড-১৮৬০। তিনি এই মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী এবং এস. এম. মজিবুর রহমান একজন আওয়ামী যুবলীগের সক্রিয় কর্মী। 
প্রশাসনের ভিতর ফ্যাসিবাদের দোসররা এখনো লুকিয়ে থেকে পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করার অপচেষ্টায় মরিয়া। ফ্যাসীবাদের পতন হলেও ষড়যন্ত্র বন্ধ হয় নাই। ফ্যাসিবাদের সময় ভিন্ন মতের শিক্ষকদেরকে বিভিন্ন ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ফ্যাসিস্টদের আমলে নির্বাচনে অবৈধ টাকা ভাগ ভাটোয়ারা করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। ভান্ডারিয়া থানা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করে তারা ফায়দা লোটার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বিদ্যালয়ের ভিতর লুকায়িত থাকা আওয়ামী লীগের দোসররা সমাজে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য কাজ করে যাচ্ছে।
পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার ভান্ডারিয়া থানা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এর প্রধান শিক্ষক এস. এম. মজিবুর রহমান এর বিরুদ্ধে স্লিপ ফান্ডের টাকা নয়-ছয়, শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পরিক্ষার ফি বাবদ অতিরিক্ত অর্থ আদায়, স্কুলে বসে প্রাইভেট বাণিজ্য, ক্লাস চলাকালীন সময়ে বিশ্রাম, স্বেচ্ছাচারিতারসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এ নিয়ে বিদ্যালয়ের পরিবেশ ও শিক্ষার সুষ্ঠু কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন শিক্ষক ও স্থানীয় বাসিন্দারা। 
ভান্ডারিয়া উপজেলার থানা সংলগ্ন ভান্ডারিয়া থানা বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৯৬১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠানটির সুনাম রয়েছে। শুধুমাত্র প্রধান শিক্ষকের অসৎ কার্যকলাপের কারণে আজ প্রতিষ্ঠানটি প্রশ্নবিদ্ধ?  
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক জানান, এ ধরনের কর্মকান্ড বারবার বন্ধ করার অনুরোধ করা হলেও প্রধান শিক্ষক এসব বিষয় এড়িয়ে যান। এতে শিক্ষার্থীরা অমনোযোগী হওয়ার পাশাপাশি আমরাও থাকি দু:শ্চিন্তায়। বিষয়টি নিয়ে কর্তৃপক্ষের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিয়মনীতি না মেনে যেমন ইচ্ছা তেমনভাবে বিদ্যালয় চালান। আমরা তাকে অনেকবার বলেছি, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানালে তিনি বিষয়টি আমলে নেননি। 
বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটি জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে তার অপকর্মের কথা বহুবার বলেছি বন্ধ করতে। কিন্তু তিনি কারো কথা না শুনে ইচ্ছামতো স্কুলে আসেন এবং আগেভাগে চলে যান। তার মধ্যে প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্বশীলতার অভাব রয়েছে। 
অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক এস এম মজিবুর রহমান বিষয়টি অস্বীকার করেন। 
এ বিষয়ে জানতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি।


নিউজটি আপডেট করেছেন : Prothom Bulletin

কমেন্ট বক্স