ঢাকা | বঙ্গাব্দ | আজকের ভিজিটর: 20,11,828,00

মতামত দিলেন লন্ডন প্রবাসী শাহিন আহমেদ চৌধুরী। বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Oct 19, 2025 ইং
ছবির ক্যাপশন:
ad728

আব্দুল হামিদ জেলা প্রতিনিধ :-
লন্ডন প্রবাসী বিশিষ্ট সমাজসেবক ও বিশ্লেষক মো: শাহীন আহমেদ চৌধুরী বাংলাদেশের বর্তমান সামাজিক ও রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে খোলামেলা মতামত প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে প্রবাসীদের ভূমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে। “আমরা প্রবাসে থেকেও দেশের অগ্রগতি নিয়ে চিন্তা করি। বাংলাদেশ এখন সম্ভাবনার দেশ, তবে সঠিক নেতৃত্ব ও ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা ছাড়া সেই সম্ভাবনা পুরোপুরি বাস্তবায়ন সম্ভব নয়।”
যেহেতু জুলাই-আগস্টের হত্যাকান্ডে জড়িত বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর এবং ডিজিএফআইয়ের কিছু কিছু সদস্যদের বিচার কার্যক্রম আরম্ভ হয়ে গেছে সেহেতু ভারতের মোদি সরকার,আওয়ামী লীগ এবং তাদের দোসররা অবশ্যই ব্যতিত হচ্ছে..!
ভারতের কাছে বাংলাদেশের কট্ররপন্থী ইসলামিক দল হিসেবে খ্যাত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, যেহেতু বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় গুলোতে জামায়াতে ইসলামীর শাখা বাংলাদেশ ইসলামি ছাত্র-শিবিরের জয়জয়কার চলিতেছে সেহেতু  অবশ্যই সেটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ মাথা ব্যাথার কারণ হতে পারে তাদের। কেননা, আগামীতে যদি এই দল বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় চলে আসে..?তিন ভারতের চোখে আসামী হলেন উপমহাদেশে সবচেয়ে বিখ্যাত ইসলামিক স্কলার ডাঃ জাকির নায়েক, এই জন্যে উনি বিজেপি সরকার আসার পর থেকেই দেশের বাহিরে এমনকি উনার সমস্ত সম্পদও বাজেয়াপ্ত করে দিয়েছে বর্তমান মোদি সরকার আর সেই তিনিই নাকি আগামী মাসে বাংলাদেশ সফরে আসিতেছেন এদিকে এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ হতে পারে শেখ হাসিনা ও তার দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বিচার কার্যক্রমও দ্রূত এগিয়ে যাওয়ায় 
চট্টগ্রাম, মিরপুর এবং ঢাকা বিমানবন্দরের অগ্নিকান্ডের ঘটনায় কেমন জানি আমি একটি অদৃশ্য কালো শক্তির গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। কেননা দেশের গুরুত্বপূর্ণ পদ তথা রাষ্ট্রপতি যেহেতু আওয়ামী লীগের, সেনাবাহিনীর প্রধান যেহেতু আওয়ামী লীগের, প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলো যেহেতু আওয়ামী লীগের মানুষ, তারমধ্যে বিএনপি এবং জামায়াতে ইসলামীর কিছু কিছু দালাল নেতাও যেহেতু আওয়ামী লীগের সাথে আঁতাত সেহেতু আগামী নির্বাচনের পূর্ব মুহূর্তে দেশের মধ্যে অনেক কিছু ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা যাচ্ছে। নীরবতাই সম্মতির লক্ষণ চুপ করে থাকা শেখ হাসিনা এবং তার দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতারাও দেশের মধ্যে ঢুকে যেতে পারে বলে, দেশের প্রতিটি এলাকা থেকেই গুনগুন আওয়াজ হচ্ছে। বলছিলাম দেশ এবং জাতির এই সংকট মুহূর্তে চোখ কান খোলা রেখে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে দেশের সাধারণ জনগণের, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রী হক্কানি আলেম-ওলামা ও এদেশের সম্পদ বাঁচাতে হবে।

বাংলাদেশ আজ এমন একটি সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে, যেখানে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ, রাজনৈতিক শিষ্টাচার এবং রাষ্ট্রের প্রাতিষ্ঠানিক ভারসাম্য এক গভীর প্রশ্নের মুখোমুখি। ফ্যাসিবাদ পরবর্তী সাম্প্রতিক সময়ের রাজনৈতিক ঘটনাবলি কেবল রাজনৈতিক উত্তেজনার বহিঃপ্রকাশ নয়, বরং এটি এক ধারাবাহিক রাজনৈতিক সংকটের বহুমাত্রিক প্রতিফলন।

ফ্যাসিবাদ বিরোধী জুলাই গণঅভ্যুত্থান অভ্যুত্থান আকস্মিক ছিল না। এর পেছনে রয়েছে বিএনপি এবং তার মিত্রদের দীর্ঘদিনের সংগ্রাম, আন্দোলন এবং রাজনৈতিক ত্যাগ। কিন্তু এই আন্দোলনের পটভূমি গঠনে বিএনপি নেতাকর্মীসহ যারা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন, তাদের অবদানকে অস্বীকার বা তুচ্ছ করার প্রবণতা আজ স্পষ্ট। বর্তমান ক্ষমতাসীন পক্ষ ও তাদের ঘনিষ্ঠ মহলের মধ্যে এই অস্বীকৃতির প্রবণতা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বিরোধী তো বটেই বরং তা ইতিহাস বিকৃতির এক বিপজ্জনক নিদর্শন।
আলোচনার কেন্দ্রে রয়েছে বিএনপির জনপ্রিয়তা—যা বহুবছরের রাজনৈতিক সংগ্রামের ফসল। দলটির সামাজিক ভিত্তি, রাজনৈতিক অভিপ্রায় এবং সাংগঠনিক শক্তি বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। কিন্তু এ জনপ্রিয়তাকে ভয় পেয়ে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষগণ যেন এক সুপরিকল্পিত বিভ্রান্তির কৌশল অবলম্বন করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, প্রচারমাধ্যম, এবং প্রশাসনিক কাঠামোর নির্দিষ্ট অংশ ব্যবহার করে তারা নেতিবাচক প্রচারণা ও অপপ্রচার চালাচ্ছে, যার উদ্দেশ্য বিএনপিকে রাজনৈতিকভাবে দুর্বল করে রাখা। জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে, সেটিও এ সংকটের একটি কেন্দ্রীয় উপাদান। গণতান্ত্রিক চর্চার স্বাভাবিক ধারাবাহিকতা রক্ষার বদলে নির্বাচনী প্রক্রিয়া বিলম্বিত করার প্রবণতা জাতির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে অন্ধকারাচ্ছন্ন করছে। কোনো কোনো মহল হয়তো উপলব্ধি করছে যে, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তারা গণরায়ে প্রত্যাখ্যাত হবে। এই আশঙ্কাই নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়ার প্রবণতাকে ত্বরান্বিত করছে। ফলে ক্ষুণ্ন হচ্ছে জনগণের ভোটাধিকার এবং গণতন্ত্রের মৌলিক চেতনা।

জুলাই অভ্যুত্থানে সেনাবাহিনীর ভূমিকা ছিল দৃঢ়, পেশাদার, এবং পরিপক্ব। বিশেষ করে সেনাপ্রধানের সিদ্ধান্ত ও দূরদর্শিতায় একটি সম্ভাব্য বৃহৎ প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব হয়েছে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : Prothom Bulletin

কমেন্ট বক্স