today visitors: 5073432

সন্দ্বীপে কোভিট ১৯ টীকাদান কর্মসূচির প্রাপ্য সম্মানী না পাওয়ার অভিযোগ পরিবার কল্যান সহকারীদের।

মাহমুদ মান্না
সন্দ্বীপ প্রতিনিধি।

কোভিড ভ্যাকসিন প্রদানে টিকাদান কর্মীদের জন্য সম্মানী বাবদ টাকা জমা হয় সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসের হিসাব নম্বরে। ২০২৩ সালের ৪ জুন থেকে নভেম্বর পর্যন্ত চার ধাপে এসব অর্থ জমা হয়। টাকা জমা হওয়ার পর একাউন্ট থেকে দুই ধাপে সব টাকা তোলা হয়েছে, কিন্তু দেড়  বছর পার হলেও সম্মানীর টাকা পাননি বলে অভিযোগ করছেন সন্দ্বীপ উপজেলার ৪৫ জন  পরিবার কল্যাণ সহকারী মাঠ পর্যায়ের টিকাদান কর্মীরা। বিষটি নিয়ে নাম প্রকাসে অনেচ্চুক একজন পরিবার কল্যান সহকারীর সাথে আলাপ করলে তিনি জানান আমরা গত ১ বছর আগে জেনেছি গত ২২ সালে ফাইজার টীকা ও বোষ্টার টীকার ২৪ লাখ অফিসে জমা হয়েছে।কিন্তু আমরা বার বার আমাদের সম্মানীর চেয়ে ও এখনো পর্যন্ত পাই নি।
এই ছাড়াও  ১ জন পরিদর্শিক এর সাথে আলাপ কালে তিনি জানান অধিদফতর নির্দেশে আমরা জাতীয় টীকাদান  কর্মসূচি গুলো স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যান সহকারী  যৌথভাবে কাজ করে। পরবর্তীতে যখন বরাদ্দ আসে তখন বার বার পরিবার কল্যান সহকারীগন তাদের প্রাপ্য সম্মানী থেকে বঞ্চিত হয়। এ বিষয়ে পরিবার কল্যাণ সহকারীরা  সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কে গত গত সেপ্টেম্বরের ১৮ তারিখ একটি স্মারক লিপি দিয়েছেন বলে ও তারা জানান। জানা গেছে, তারা অতি দ্রুত চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন কে স্মারক লিপি দিবেন।

জানা গেছে  ২০২২ সালে ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের কোভিড টিকাদান এবং একই বছরে ইউনিয়ন পর্যায়ে করোনার টিকার বুস্টার ডোজের টিকা প্রদানের জন্য চার ধাপে ২৪ লাখ টাকা সম্মানী আসে সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসের সরকারি হিসাব নম্বরে। এরমধ্যে ২০২৩ সালের ৪ জুন চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিস থেকে ১৩ লাখ ৩৩ হাজার ৮১২ টাকা, ২৭ আগস্ট ৩ লাখ ৯২ হাজার ৪৮৫ টাকা, ১২ অক্টোবর ৩ লাখ ৯২ হাজার ৪৮৫ টাকা এবং ২৩ নভেম্বর ২ লাখ ৮১ হাজার ২৮৫ টাকাসহ সর্বমোট ২৪ লাখ ৭৪৭ টাকা জমা হয়।এরমধ্যে চেকের মাধ্যমে ২০২৩ সালের ২৬ জুন ১৪ লাখ টাকা এবং ২৮ ডিসেম্বর ১০ লাখ টাকাসহ সর্বমোট ২৪ লাখ টাকা নগদে উত্তোলন করা হয়। যা সন্দ্বীপ উপজেলার ৪৫ ওয়ার্ডে নিয়োজিত স্বাস্থ্য সহকারী ও পরিবার কল্যান  সহকারীদের মধ্যে বিতরণের কথা ছিল। পরে স্বাস্থ্য সহকারীরা পেলে ও এখনো পরিবার কল্যান সহকারীরা পাননি। এ বিষয়ে সন্দ্বীপ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা ডাক্তার মানস বিশ্বাস বলেন স্বাস্থ্য সহকারীদের টাকা প্রদান করা হয়েছে,  পরিবার কল্যাণ সহকারীদের টাকা আটকানো ছিল তা ও দ্রুত দিয়ে দেয়া হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *