today visitors: 5073432

সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ী ছাত্র আন্দোলন ” সমন্বয়কদের বিশেষ বিবৃতি

এস চাঙমা সত্যজিৎ
স্টাফ রিপোর্টারঃ

খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনীর গুলিতে শহীদ সকল সহ আহত ও দীঘিনালার সাম্প্রদায়িক হামলার ও আজকে রাঙামাটিতে হামলার প্রতিবাদে “সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ী ছাত্র আন্দোলন” এর কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
২৪ ঘন্টার মধ্যে সেনাপ্রধানকে দায় স্বীকার করে জনসম্মুখে ক্ষমা চাইতে হবে, খাগড়াছড়িতে গুলি করার নির্দেশদাতা সেনা কর্মকর্তা ও সৈনিকদের আইনের আওতায় আনতে হবে, ১ দিনের মধ্যে সেনাবাহিনীকে ব্যারাকে ফেরত যেতে হবে, ২ মাসের মধ্যে পার্বত্য চুক্তির পূর্নাঙ্গ বাস্তবায়ন করতে হবে, স্ব স্ব জাতিসত্তার স্বীকৃতিসহ আদিবাসী স্বীকৃতি দিতে হবে।

যদি ২৪ ঘন্টার মধ্যে সেনাপ্রধান ক্ষমা না চান, হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া সেনা কর্মকর্তা ও সৈনিকদের গ্রেপ্তার করা না হয় এবং সৈনিকদের ব্যারাকে ফেরত না নেওয়া হয় তা’হলে পার্বত্য চট্টগ্রামে আগামী কাল থেকে এই কর্মসূচি অনির্দিষ্ট কালের জন্য চলবে।

খাগড়াছড়িতে সেনাবাহিনীর গুলিতে শহীদ সকল সহযোদ্ধাসহ আহত ও দিঘিনালায় সাম্প্রদায়িক হামলার এবং আজকে রাঙ্গামাটিতে হামলার প্রতিবাদে আমাদের কর্মসূচি-
” CHT BLOCKED”

“CHT BLOCKED” এর আওতায় যা যা থাকবে

১- পার্বত্য চট্টগ্রামে নৌ ও সড়ক পথ অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ থাকবে।

২- পর্বত্য চট্টগ্রামে সকল সেটেলার বাঙালি শপিং মল ও দোকান-পাট বর্জন। প্রত্যেক জেলা – উপজেলার বাজার অনির্দিষ্ট কালের জন্য বয়কট করা হলো।

৩- পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল প্রকার অফিস -আদালত অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ।

৪- পার্বত্য চট্টগ্রামে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ক্লাশ অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ।

যা যা এর আওতামুক্ত থাকবে –
১। জরুরি সেবা
২। ঔষধ
৩। এম্বুলেন্স

সকল জনসাধারন, আঞ্চলিক দলগুলোকে নিজ নিজ এলাকায় থেকে “CHT BLOCKED ” কর্মসূচিতে স্বতস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করার জন্য অনুরোধ করা হলো৷

“সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন” এর কেন্দ্রীয় সমন্বয়কবৃন্দদের ঘোষণা সফল করার জন্য পার্বত্য চট্টগ্রামের সর্বস্তরের জনগণের প্রতি প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।

এস চাঙমা সত্যজিৎ
স্টাফ রিপোর্টার প্রথম বুলেটিন।