today visitors: 5073432

বারহাট্টা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতিকে জিজ্ঞেসাবাদ করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে 

মোঃ জিয়াউল হক (বারহাট্টা) নেত্রকোনা প্রতিনিধি 

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার মিছিলে  গুলিবর্ষণকারী সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল কবির খোকন (৫৪) কে নেত্রকোণা মডেল থানা থেকে জিজ্ঞেসাবাদ করে ১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম। 

ময়মনসিংহ র‍্যাব-১৪, কিশোরগঞ্জ (সিপিসি-২) এর কোম্পানী কমান্ডার স্কোয়াড্রন লীডার মো. আশরাফুল কবির এক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছিল  ১২ সেপ্টেম্বর  বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর কল্যাণপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করেছিল র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব -১৪)

জানা যায় খায়রুল কবির খোকন গত ৪ আগস্ট নেত্রকোণার বারহাট্টা উপজেলায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন সময়ে ছাত্র-জনতার ওপর গুলিবর্ষণ ও ককটেল নিক্ষেপ করেছিল। এর পর ১৯ আগস্ট উপজেলা বাউসী ইউনিয়নের প্রেমনগর গ্রামের আলী আমজাদ হোসেন এর ছেলে আমিনুল ইসলাম (৪৭) বাদী হয়ে ছাত্র জনতার উপর গুলিবর্ষণ ও ককটেল নিক্ষেপ এর অভিযোগ এনে ৩৯ জনকে আসামি করে বারহাট্টা থানায় একটি মামলা রেকর্ড করে। 

এই মামলার প্রধান আসামি নেত্রকোনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামছুর রহমান লিটন। ২ নং আসামি খায়রুল কবির খোকন। বারহাট্টা থানায় আরও দুটি মামলায় খায়রুল কবির খোকন  ২ নং আসামি হিসেবে আছে বলে জানিয়েছে ওসি রফিকুল ইসলাম।  এর মধ্যে ২০২২ সালের ৩  সেপ্টেম্বর  বিএনপির দ্বি- বার্ষিক সম্মেলন করার মঞ্চে আগুন জ্বালানোর মামলাটি রয়েছে বলে জানিয়েছে বারহাট্টা থানার ওসি। 

 বারহাট্টা থানার অফিসার ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম বলেন, বারহাট্টা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খায়রুল কবির খোকন কে গুলিবর্ষণ ও ককটেল নিক্ষেপ মামলায় ঢাকার কল্যাণপুর একটি বাসা থেকে গ্রেফতার করে র‍্যাব-১৪। এর পর ঐ দিন রাতে আমাদের কাছে আসামিকে হস্তান্তর করে । আমরা তাকে নেত্রকোনা মডেল থানায় জিজ্ঞেসাবাদ করে ১৩ সেপ্টেম্বর শুক্রবার নেত্রকোনা জেল হাজতে পাঠিয়েছি । আমরা আদালতের কাছে  ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছি। এখনও শুনানি হয়নি। বাকি দুটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানোর জন্য বিজ্ঞ আদালতে আবেদন করেছি।