সব মাজারে অলি ঘুমান না ( কিছু মাজারে ভন্ডও ঘুমায়) যারা মাজহার ভাংঙ্গার কাজে নিয়োজিত আছেন আপনাদের উদ্দেশ্যে আমার দুটি কথা।

মোঃ আমিনুল ইসলাম
ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধি

তিন লক্ষ 24 হাজার নবী রাসুলের মধ্যে কেউ উপমহাদেশে আসেননি, প্রশ্ন দাঁড়ায় এখানে ইসলাম আসলো কিভাবে এবং আমরা মুসলমান হলাম কিভাবে? ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আল্লাহর আউলিয়াগণ নিজেদের ভোগবিলাসী জীবন পদদলিত করে ইসলাম প্রচারের জন্য উপমহাদেশে তথা বাংলাদেশে এসেছেন, আমরা তাদের মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম পেয়েছি, এত বড় নেয়ামত যাদের মাধ্যমে পেলাম, (একবার হলেও বলি আলহামদুলিল্লাহ)

আপনার আমার ছয় থেকে সাত পুরুষ পিছনে গিয়ে খোঁজ নিয়ে দেখুন আপনি এবং আমি হয়তো হিন্দু ধর্মাবলম্বী ছিলাম নয়তো বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী ছিলাম, আমরা অকৃতজ্ঞ আজ মাজার ভাঙ্গার জন্য বিভিন্ন পন্থা অবলম্বন করছি নিজেদের বিবেকের কাছে একবার প্রশ্ন রাখি এত বড় নেয়ামত যাদের মারফতে পেলাম তাদের মাজার ভাঙ্গার জন্য, কেন যাচ্ছি?

মাজার ভাঙ্গা যদি পূর্ণের কাজ হয় এমন পূর্ণ আমার প্রয়োজন নেই, তবে এটা সত্য যে বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রান্তে কিছু অসাধু ব্যক্তি মাজারের নাম দিয়ে ইসলাম ধর্ম পরিপন্থী কিছু অনৈতিক কাজ করে যাচ্ছে, ওই সব অসাধু ব্যক্তিদের কে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনাটা হচ্ছে অনস্বীকার্য, যাতে ইসলাম ধর্ম কলুষিত না হয়, মাজার ভাঙ্গার অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে? এমন ঘৃণ্য মন-মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসুন, ৫ ই আগস্ট এর পর থেকে মাজার ভাঙ্গ ার পাশাপাশি মসজিদ মাদ্রাসা দখলের ও সংস্কৃতি চালু হয়েছে এটি শুভ লক্ষণ নয়।

যদি ইসলাম ধর্মের অনুসারী হন তাহলে আপনার কাছে যেন আপনার ভাই নিরাপদ থাকে জবান হেফাজত করুন, মন-মানসিকতার পরিবর্তন করুন।