today visitors: 5073432

নাটোর এক আসনের সাবেক এমপি বকুলের দেশত্যাগের নিষেধাজ্ঞা

 

স্বাধীন আলম হোসেন
লালপুর নাটোর

নানা অনিয়ম-দুর্নীতি আর অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ার অভিযোগে ধীরে ধীরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) জালে ধরা পড়ছেন ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী-এমপিরা।

দুদকের জালে ধরা পড়ার আগেই কেউ কেউ দেশ ছেড়েছেন, আবার কেউ আটক হচ্ছেন বিভিন্ন সময়ে। অনেকেই আছেন ধরা-ছোঁয়ার বাইরে। তবে যারা এখনও গ্রেপ্তার হননি সেই সব মন্ত্রী-এমপি কিংবা তাদের পরিবার যাতে দেশত্যাগ করতে না পারে সেই উদ্যোগ নিয়েছে দুদকের অনুসন্ধান কর্মকর্তারা।

দুদকের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে অপর একটি অনুসন্ধান টিম আরও ১৩ সাবেক মন্ত্রী-এমপিদের দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ নিয়ে কাজ করছে। এই টিম যাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে কমিশনে আবেদন করেছে তারা হলেন- সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশী, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম, ধর্ম বিষয়ক সাবেক মন্ত্রী ফরিদুল হক খান, সাবেক মন্ত্রী ও জাতীয় পার্টি নেতা আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, জাসদ নেতা ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, সাবেক ত্রাণ ও দুর্যোগ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল, ঢাকা-২০ আসনের সাবেক এমপি বেনজীর আহমেদ, যশোর-৩ আসনের সাবেক এমপি কাজী নাবিল আহমেদ, পটুয়াখালী-৪ আসনের সাবেক এমপি মহিববুর রহমান এবং নাটোর-১ আসনের সাবেক এমপি শহিদুল ইসলাম বকুল।

আর সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান কামাল, তার ছেলে শাফি মোদাচ্ছের খান, মন্ত্রীর সাবেক পিএস অতিরিক্ত সচিব হারুন অর রশিদ বিশ্বাস, যুগ্মসচিব ধনঞ্জয় কুমার দাস, প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোল্লা ইব্রাহিম হোসেন, সহকারী একান্ত সচিব মনির হোসেন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপুসহ ১০ ব্যক্তির বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কমিশন বরাবর আবেদন করেছে উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলমের নেতৃত্বে পৃথক আপর টিম।