এইচ এম গোলাম কিবরিয়া রাকিব, কুমিল্লা।
হঠাৎ করেই ভয়াবহ দুর্যোগের কবলে বাংলাদেশ। ভারতের বাঁধ খুলে দেয়ায় উজানের পানি ও ভারী বর্ষণে তলিয়ে গেছে কুমিল্লা, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চাঁদপুরসহ ১৩ জেলা। আশপাশের অঞ্চল। বন্যায় সহায়-সম্পত্তি হারিয়ে অসহায় হাজার হাজার পরিবার। অন্তত ৫০ লাখ মানুষ পানিবন্দিসহ ক্ষতিগ্রস্ত অসংখ্য অগণিত। সীমাহীন দুর্ভোগে আছে বন্যাকবলিত মানুষেরা। দুর্গতদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে সাধারণ মানুষসহ নানা সংগঠন। উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় প্রংসনীয় ভূমিকা পালন করে চলছে মারকাযুল ফুরকান ফাউন্ডেশন ও আদ-দাওয়াহ বাংলাদেশ।
জানা গেছে, মারকাযুল ফুরকান শিক্ষা পরিবার পরিচালিত এই ফাউন্ডেশনটি বন্যার্তদের সেবায় গত বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট ২০২৪) থেকে কার্যক্রম শুরু করেছে। প্রথম দিন উদ্ধার অভিযানে ফেনীতে হেলিকপ্টার দিয়ে সহায়তা করেছে। দ্বিতীয় দিন থেক কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে অস্থায়ী ক্যাম্প করে দীর্ঘ ছয় দিন ও নোয়াখালী মাইজদী তালীম সুন্না মাদরাসায় ৩দিন শুকনা ও ভিজা খাবারের সমন্বয়ে ৫ থেকে ৬ হাজার লোকের খাবার রেগুলার বিতরণ করে আসছে। পরশুরামে ৫ শতাধিক মানুষের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী প্যাকেট করে বিতরণ করেছে।
এছাড়া,কুমিল্লা সদর দক্ষিণ লাকসাম, মনোহরগঞ্জ, বুরিচিং, দেবিদ্ধার, চৌদ্দগ্রাম ক্যান্টনমেন্ট এলাকাগুলোতে রেগুলারলি রান্না খাবার বিতরণ করছে। বাচ্চাদের দুধ-ডায়পার, মা-বোনদের প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র, ওরস্যালাইন-মেডিসিন, বিশুদ্ধ পানি ও পানি বিশুদ্ধ করন টেবলেটসহ প্রয়োজনীয় আসবাবপত্র পৌঁছে দিচ্ছে বলে জানা গেছে ফাউন্ডেশন সূত্রে।
মারকাযুল ফুরকান’র চেয়ারম্যান মাওলানা মোশাররফ হোসেন মাহমুদ আওয়ার ইসলামকে বলেন, ‘প্রতিদিনেই আমাদের ফাউন্ডেশন ৫-৬ টা টিম ভাগ হয়ে কাজ করছে। আট দিন যাবত আমাদের এই কার্যক্রম চলছে। আমাদের পরবর্তী কার্যক্রম হলো,বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের পূর্ণবাসনের ব্যবস্থা করা।
তিনি জানান, ভেসে আসা লাশ দাফনের কাজও করছি আমরা। এ পর্যন্ত একটা শিশু, দুজন পুরুষ ও একজন মহিলার লাশ দাফন করার ব্যবস্থা করেছি।
কুমিল্লাসহ বন্যা কবলিত এলাকা নোয়াখালী, লক্ষীপুর এবং ফেনীতে মসজিদ, মাদরাসা এবং ওলামায়ে কেরামদের পুনর্বাসন নিয়ে কজের পরিকল্পনা আছে বলে জানান ফাউন্ডেশনটির চেয়ারম্যান মাওলানা মোশাররফ হোনে মাহমুদ।
তিনি বলেন,
এছাড়া করোনাসহ দেশের যে কোনো দুর্যোগে মারকাযুল ফুরকান সাধ্য অনুযায়ী সর্বোচ্চ খেদমতে হাজির হয়েছে, ভবিষ্যতেও দেশের যেকোনো দুর্যোগে মারকাযুল ফুরকান পাশে থাকবে ইনশাআল্লাহ।
এসময় তিনি , কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ মসজিদের সম্মানিত খতিব শায়েখ মামুন মোস্তফী ও নোয়াখালী মাইজদী তা’লিমুস সুন্নাহ মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আব্দুল্লাহ ও মাওলানা গাজী আল মাহমুদ সাহেবদের বিশেষ শুকরিয়া জানানোসহ
রেডিও একাত্তরের আরজে ও আদ-দাওয়াহ বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান মাওলানা মামুন চৌধুরী, বিশিষ্ট আলোচক মুফতি মুয়াবিয়া আল হাবিবি, মুফতি রফি উদ্দিন মাহমুদ নুরী,আশ-শরইয়্যা ফাউন্ডেশন এর সম্মানিত চেয়ারম্যান মুফতি মামুনুর রশিদ কাসেমী, মাওলানা ইমাদ উদ্দিন,ত্বহা জিন্নুরাইন ফাউন্ডেশন এর মাওলানা হাবিবুল্লাহ মিসবাহ, মাওলানা আবুল বাশার রেজওয়ান,মুফতি ফয়জুল্লাহ কুমিল্লা, মাওলানা ইয়াসিন মাহমুদ বরকতুল্লাহ,মাওলানা আহসানুল্লাহ জাকি,মাওলানা ইমদাদ সহ এই টিমের সকল সেচ্ছাসেবীদের।
তাছাড়া আদ-দাওয়াহ বাংলাদেশ এর চেয়ারম্যান মাওলানা মামুন চৌধুরী বলেন এখন সবচেয়ে গবাদি পশুদের খাবারের খুব বেশি সংকট এটার দিকে খেয়াল করা জরুরী তাছাড়া এখন যেমন সবাই এগিয়ে আসছি পানি কমে যাওয়ার পরও যেন আমরা সকল মানুষের পাশে থেকে তাদের সংকট মোকাবেলায় সহযোগিতার হাত বাড়াই।
মারকাযুল ফুরকানকে সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন তাদের নাম তুলে ধরেন। মারকাযুল ফুরকান,আদ দাওয়াহ বাংলাদেশ, রেডিও একাত্তর ৯৮:৪ এফএম, ইমদাদুল আবেদীন ফাউন্ডেশন, ত্বহা-জিন্নুরাইন ফাউন্ডেশন, আশ-শরীয়াহ ফাউন্ডেশন,
দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম খিলগাঁও ঢাকা, কুমিল্লার তরুণ উলামা পরিষদ, তরুন ওয়ায়েজীনে কেরাম ও মুগদা পঞ্চায়েত কমিটি।