লায়ন রাকেশ কুমার ঘোষ, স্টাফ রিপোর্টার
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে পুরোদমে যাত্রী পারাপার শুরু হয়েছে। সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুর সোয়া ১২টার দিকে ৫ দিন পর যাত্রী পারাপার শুরু হয়। এতে যাত্রীদের মধ্যে স্বস্তি ফিরলেও অনেককে হয়রানি করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
সকালে বন্দর দিয়ে একটি মিনি ট্রাকে করে মাছ রপ্তানি হয়।
তবে আর কোনো পণ্য আমদানি-রপ্তানি হতে দেখা যায়নি। উপজেলার গাজীর বাজার এলাকায় বেইলি সেতু ধসে যাওয়ায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম চালু হতে কিছু সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
যাত্রী পারাপার শুরু হতে পারে- এমন খবরে সকাল থেকেই লোকজন বন্দর এলাকায় এসে জড়ো হয়। সকাল ১১টার দিকে বিজিবির ব্যারিয়ারের সামনে ৩০-৩৫ জন যাত্রীকে অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
এর আগে যাত্রীরা কাস্টমসের কাজ সারেন। দুপুর সোয়া ১২টায় তাদের ইমিগ্রেশন এলাকায় ঢুকতে দেওয়া হয়। এ সময় দুই দেশ থেকে যাত্রী যাওয়া-আসা করতে দেখা যায়।
যাত্রী পারাপার শুরুর পর অনেককে হয়রানি করা হয় বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
বিশেষ করে বাংলাদেশ থেকে যারা ওপারে যাচ্ছে তাদের হয়রানি করতে দেখা যায়। কর্মরত স্থানের অনাপতিপত্র, ট্যুরিস্ট ভিসা নিয়ে ডাক্তার দেখাতে যাওয়া ইত্যাদি বিষয় নিয়ে অনেককে দীর্ঘ সময় আটকে রাখা হয়। আবার কিছু সময় পর তাদের ছেড়ে দিতেও দেখা যায়। এসব বিষয় নিয়ে যাত্রীরা বারবারই ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জের কক্ষে ভিড় করছিলেন। মূলত উনার নির্দেশনাতেই সব কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছিল।
ভারত থেকে ফিরে আসা নরসিংদীতে চাকরিরত শরীয়তপুর জেলার বাসিন্দা মোঃ স্বপন বলেন, ‘গত কয় দিন কী যে কষ্ট করেছি, সেটা বলার মতো না। হাতে যে টাকা নিয়ে গেছি, সেটা শেষ হয়। কোনো রকমে ওখানে দিন পার করেছি। এখন ফিরে আসতে পেরে ভালো লাগছে।’
নরসিংদী কটিয়াদীর লিটন ঘোষ জানান, আমি ভারতে যাব চিকিৎসার জন্য, এর আগে একবার গিয়ে চিকিৎসা করে আসছি, ডাক্তার দুই মাস পরে যাওয়ার জন্য বলেছে, আমি ২৬ তারিখের বিমানের টিকেট কেটে ফেলছি, আজকে না যাইতে পারলে, আমার টিকিট ও মারাই যাইতো, এবং আমারও শারীরিক সমস্যা হতো। আমার উপর ঈশ্বরের কৃপা আছে বলে আজ যেতে পারব ।
আশুগঞ্জের বাবুল মিয়া, সিলেটের সুধাংশু নামের আরো দুই ব্যক্তি বন্যার কারণে আটকে থাকায় তাদের কষ্টের কথা বর্ণনা দেন। তারা জানিয়েছেন, আগরতলাতেও বেশ বন্যা হয়েছে। যে কারণে তাদের সেখানে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে।
আখাউড়া স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের ইনচার্জ (ওসি) মোঃ খায়রুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘বন্যার পানি নেমে গেলে যন্ত্রপাতি ঠিকঠাক করতে সময় লেগে যায়। প্রকৌশলী এসে সব কিছু ঠিক করার পর দুপুর সোয়া ১২টা থেকে যাত্রী পারাপার শুরু হয়। তবে ওপরের নির্দেশনা থাকায় অনেক যাত্রীর বিষয়ে খোঁজ নিতে হচ্ছে। তাদের যাচাই-বাছাই শেষে যেতে দেওয়া হচ্ছে।’