মো:রবিউল ইসলাম প্রথম বুলেটিন
ওরা আর ইতিহাস লিখবে না।
ওদের চোখের জল মুছে দেবারও কেউ থাকবে না।
সেদিন অবশ্য বিচার চেয়েছি- গলা উঁচিয়ে বলেছিলাম;
ততক্ষণ অব্দি বাড়ি ফিরব না,
বাড়ি ফিরিওনি।
এখনো বিচার চাই! নিরাশ হয়ে রোজ ফিরে আসি,
এমনি চলতে থাকলে মানুষ একদিন বিচার চাওয়াও ভুলে যাবে।
এরপর শত অপমান, লাঞ্ছনা, ঘৃণা, যন্ত্রণা নিয়ে বাড়ি ফেরা,
কিংবা রোজ খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হয়,
অন্যদিকে তনুর মায়ের সে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারিনি।
বেচারি মা! মুখ ফসকে বলে উঠলো-
বাপুরে, তোর ঘরেও তনু আছে- একটু সামলে রাখিস।
আজ অব্দি তনুর মায়ের কাকুতি মিনতি ভরা চোখের সামনে দাঁড়াতে পারিনি;
তবে কি আমার তনুও নিরাপদ নয়?
অনেক কষ্টে, পিঠ পুড়িয়ে, পেট পুড়িয়ে বাড়ন্ত তনু
লাল কাপড়ের স্বপ্নজড়ানো, ওর কপালেও সিঁদুর উঠবে,
হাতে শাঁখা, উঠোনময় প্রাণবন্ত ছুটোছুটি;
ও অ কি তবে শেয়াল শকুনের খাবার?
আহ! বুকফাটা আর্তনাদ!
আর কতটাই না নির্মম ছিলো সে হত্যাযজ্ঞ!
রোজ হেডলাইন- মুখরোচক সে নৃশংস ধর্ষণ, কুলষিত মানচিত্র, অসহায় নারী, অসহায় বাবা!
নতুন করে আবারো তনু হত্যা কিংবা তনুর মত অন্য কেউ।
অত:পর ক্ষণকালের পাপমোচন বলে কথা
হৃদয়ের কালি দিয়ে দুচার লাইন লিখেছিলাম
সময়ের আস্তরণে তা চাপা পড়ে যাবে
লেখা হবে ইতিহাস!
ইতিহাস মুছে যাবে।