স্টাফ রিপোর্টার – ইমরান হক
গত ১০দিনে সারা দেশে গ্রেফতার প্রায় ৫০০০জন। রাজধানীতে মোট গ্রেফতার ২ হাজার ২০৯ জন, চট্টগ্রামে মোট গ্রেফতার ৭৩৫, বরিশালে গ্রেফতার ১০২, নরসিংদীতে ১৫৩ জন গ্রেফতার, সিলেটে গ্রেফতার ১২৮ জন, রাজশাহীতে গ্রেফতার ২৮২ জন, বগুড়ায় গ্রেফতার ৮০ জন, কক্সবাজারে গ্রেফতার ৩২৭ জন, দিনাজপুরে গ্রেফতার ১৫০ জন, খুলনায় গ্রেফতার ৯০ জন, কুষ্টিয়ায় গ্রেফতায়ার ৫২ জন, নোয়াখালিতে ৫৭ জন, ফরিদপুরে ৬৭ জন, জামালপুরে ২৪ জন, ঝালকাঠিত ৪০ জন, পঞ্চগড়ে ৫০ জন, বরগুনাতে ৮৪ জন, ঠাকুরগাঁওতে ২৫ জন, কিশোরগঞ্জে ৯৬ জন, টাঙ্গাইলে ২০ জন, এছাড়াও অজ্ঞাত পরিচয়ে বিভিন্ন জেলায় কয়েক হাজার মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং গ্রেপ্তার চলমান।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সারা দেশে চলছে গণগ্রেফতার। অনেক এলাকায় সাধারণ মানুষও এখন গ্রেফতার আতঙ্কে ঘর ছাড়া। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযান চালিয়ে অনেক সাধারণ মানুষ যাদের নামে কোন মামলা নেই তাদের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এরপর নানান দেন-দরবার করে অনেককে মুচলেকার বিনিময়ে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এই গণগ্রেফতারের আড়ালে ব্যাপক বাণিজ্যও চলছে বলে অনেকের অভিযোগ। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অভিযানে গত ৯ দিনে (১৭ থেকে ২৫ জুলাই) সারা দেশে প্রায় ৫০০০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে রাজধানী ঢাকায় ২ হাজার ২০৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিভিন্ন মহানগর, জেলা ও থানা-পুলিশ সূত্রে গ্রেফতারের এ তথ্য জানা গেছে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, ভাঙচুর, সংঘর্ষ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সারা দেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর এই অভিযান ও গণগ্রেফতার চলছে। গ্রেফতার ব্যক্তিদের বেশির ভাগই বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মী। কোথাও কোথাও পুরোনো মামলায়ও গ্রেফতার করা হচ্ছে।
সরকারি চাকরিতে কোটাপ্রথা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রের ব্যানারে শিক্ষার্থীরা লাগাতার কর্মসূচি শুরু করেন ১ জুলাই থেকে। ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ঘিরে সংঘর্ষের পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে প্রায় সারা দেশে। এর পরদিন থেকে এই আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় হামলা, সংঘর্ষ, সহিংসতা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। এ আন্দোলনে ২০১ জনের মৃত্যুর খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। বিভিন্ন জায়গায় এসব ঘটনায় অনেক মামলা হয়েছে। এখনো বিভিন্ন জায়গায় মামলা হচ্ছে।