ক্রাইম রিপোর্টার:
গাইবান্ধায় কোটাবিরোধী আন্দোলনের মিছিল থেকে জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় ভাঙচুর ও মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। ১৭ জুলাই বুধবার দুপুরে জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা থেকে কোটাবিরোধী খণ্ড খণ্ড মিছিল একত্রিত হয়ে শহরের এক নম্বর ট্রাফিক মোড়ে জড়ো হয়। পরে সেখানে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন তারা। এরপর রেল লাইন ও সড়কে বিক্ষোভ ও আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ের হামলা ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। তাদের তান্ডব প্রতিরোধে পরে উত্তেজিত জনতা ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে ভাংচুর চালায়।
এর আগে কোটা বিরোধী বিক্ষোভকারীরা জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে ব্যক্তিগত অন্তত ১৩টি মোটরসাইকেলে আগুন ও ভাংচুর করেন । এ সময় বিক্ষোভকারীদের ইটপাটকেল ও লাঠির আঘাতে গাইবান্ধা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবু বক্কর সিদ্দিক, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও গাইবান্ধা পৌর মেয়র মতলবুর রহমানসহ বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরাসহ কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা আহত হন। আন্দোলনকারীদের তান্ডব নিয়ন্ত্রনে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে পুলিশ।
আওয়ামী লীগ নেতারা অভিযোগ করেন, সাধারণ ছাত্রদের সঙ্গে মিছিলে অংশ নেয় শিবির, ছাত্রদল ও জামায়াতের নেতাকর্মীরা। ওদের উস্কানিতে সাধারণ শিক্ষার্থীরা মারমুখী হয়ে ওঠেন। পরে তারা ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ শুরু করেন। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে থাকা অন্তত ১০টি মোটরসাইকেল পুড়িয়ে দেন ও আরো কয়েকটি ভাংচুর করেছেন তারা। আগুন নেভাতে ফায়ার সার্ভিসে খবর দেওয়া হলে তাদের গাড়ি আটকে কালক্ষেপণ করেন। পরে দীর্ঘক্ষণ পর ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। তবে ততক্ষণে মোটরসাইকেল গুলো পুড়িয়ে যায়। পরে উত্তেজিত জনতা ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা জেলা বিএনপির কার্যালয়ে ভাংচুর করেছে।
গাইবান্ধা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মাসুদ রানা বলেন, আন্দোলনের একপর্যায়ে তারা সাধারণ মানুষ ও পুলিশের ওপর ইট-পাথর ছুড়ে হামলার চেষ্টা করে। দোকানপাটে ভাঙচুর চালায়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে টিয়ারশেল ছোড়া হয়। এতে তারা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।