পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধি
রাজশাহী পুঠিয়ায় নিজে ও যুব সমাজকে মাদক থেকে বাঁচাতে এক মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে স্থানীয় ইউপি সদস্য সহ গ্রামবাসীদের মধ্য হতে প্রায় ১৮২ জন ব্যক্তির গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করা হয়েছে। পরে তা অভিযোগের কপি সহ থানা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)র নিকট অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
জানা গেছে, ওই মাদক ব্যবসায়ীর নাম রানা। তার বর্তমান সে পুঠিয়া উপজেলার গন্ডগোহালী গ্রামে দুই বছর যাবত বসবাস ও মাদক ব্যবসা করে আসছে। সে আগে স্থায়ী বাসিন্দা ছিলেন রাজশাহী শহরের পার্শবর্তী মাদারদিয়াড় চর এলাকায়। অভিযোগ ও গণস্বাক্ষর করা একাধিক ব্যক্তি তারা বলছেন রানার মাদক ব্যবসার বিরুদ্ধে কথা বললে হত্যার হুমকিও দেওয়া হয়। রানা বলে বেড়ায় প্রশাসনকে ম্যানেজ করে এসব করে। আমাদের কিছুই করতে পারবে না। এর কয়েকদিন আগে ওই এলাকা থেকে একটি ধারালো অস্ত্রও উদ্ধার করা হয়। এমনকি ওই এলাকার স্থানীয় কয়েকজনকে ম্যানেজ করে রানা এসব করছে বলে দাবি তাদের। গভীর রাত অব্দি বহিরাগত মাদক সেবীরা সেখান থেকে মাদক সংগ্রহ করতে যাতায়াত করে। এছাড়াও ওই এলাকায় মাদক ব্যবসা বন্ধ করতে অভিযোগ পত্রে সই করতে দেখা গেছে, একজন সাবেক এমপি। একজন সাবেক পৌর মেয়র। একজন বর্তমান কাউন্সিলর ও ওই ওয়ার্ডের বর্তমান ইউপি সদস্য।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সাহাবুল ইসলাম বলেন, এই মাদক ব্যবসায়ীদের কারণে এলাকায় অনেক সাধারণ মানুষেরা চুরি ছিনতাইয়ের সাথে জড়িত হয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সময় দেখা যায় মানুষের বাড়ির হাঁস মুরগি ছাগলসহ নানান রকম জিনিস হারিয়ে যায়। এছাড়াও প্রতিনিয়ত বহিরাগতরা রাতের বিভিন্ন সময় ওই এলাকায় আনাগোনা করতে দেখা যায়। আমরা অনিরপদে আছি।
এসব বিষয়ে ওই এলাকার বাসিন্দা ও পুঠিয়া উপজেলা দুর্নীতিবিরোধী কমিটির সভাপতি আব্দুস সাত্তার মাস্টার তিনি বলেন, এসব মাদক কারবারই আমাদের এলাকায় আগে ছিল না। হঠাৎ করে ওই লোকটি দুই বছর আগে এখানে বাড়ি কিনে বসবাস ও মাদক ব্যবসা শুরু করে। তারপরে এলাকায় কৃষকের পেঁয়াজ রসুন সহ নানান রকম জিনিসপত্র হারিয়ে যেতে শুরু করে। আমি আমার এলাকায় মাদক মুক্ত দেখতে চাই।
এবিষয়ে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ কে এম নূর হোসেন নির্ঝর বলেন, এ ধরনের একটি অভিযোগ পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মহলকে জানানো হয়েছে আশা করি খুব দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মোঃ আব্দুস সামাদ মোল্লা তিনি বলেন, আমি সব সময় নিজেও মাদক বিরোধী কর্মকাণ্ডে যুক্ত রয়েছি। তাই কোনভাবেই আমার উপজেলার মধ্যে কোথাও মাদক ব্যবসায়ী অথবা সেবনকারী কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না। ব্যবস্থা নেয়ার জন্য আমিও বিভিন্ন মহলকে জানাবো।