মোঃ জোবাইর স্টাফ রিপোর্টার
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদের নামে বান্দরবানের সকল সম্পত্তি আদালতের নির্দেশে তত্ত্বাবধানে নিয়েছে বান্দরবান জেলা প্রশাসন।
এর মধ্যে রয়েছে বাগানবাড়ি, গরু ও মৎস্য খামারসহ ২৫ একর বা ৭৫ বিঘা সম্পত্তি।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিনের নেতৃত্বে একটি দল সদর উপজেলার সুয়াল ইউনিয়নের মাঝেরপাড়া এলাকার সেসব সম্পত্তিতে সাইনবোর্ড টানিয়ে দিয়ে আসেন। সে সঙ্গে বাগানবাড়িতেও তালা লাগিয়ে দেন।
জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, আদালতের নির্দেশনার পর বেনজীর আহমেদের সম্পত্তিগুলো তত্ত্বাবধানে নেওয়া হয়েছে এবং এসব সম্পত্তি থেকে যা আয় হবে, তা সরকারের কোষাগারে জমা হবে।
জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন বলেন, আজ বৃহস্পতিবার থেকে এই জমির রিসিভার নিয়োগ হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস এম মঞ্জুরুল হককে আহ্বায়ক করে একটি আট সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি এখন থেকে এই বিষয়ে সার্বিক তদারকি করার পাশাপাশি সব আয়-ব্যয়ের হিসাব দুদকের মাধ্যমে আদালতে উপস্থাপন করবে।
এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) এস এম মঞ্জুরুল হক, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবীবা মীরা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বান্দরবানের উপপরিচালক এম এম শাহনেয়াজ, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা অভিজিৎ শীল, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো.আবদুর রহমানসহ জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন এবং গণমাধ্যমকর্মী ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সারা দেশে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা সম্পত্তি দুদক খুঁজে বের করার মধ্যে বান্দরবানেও বিশাল সম্পত্তির খোঁজ মেলে। বান্দরবান সদর উপজেলার সুয়ালকে ৫০ একর ও লামায় প্রায় ১০০ একর সম্পত্তির রয়েছে বলে স্থানীয় অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর দুর্নীতি দমন কমিশন জেলার সুয়ালকে ২৫ একর সম্পত্তির নথি খুঁজে পায়। অন্তত ২০ কোটি টাকা মূল্যের এসব সম্পত্তিই আজ তত্ত্বাবধানে নিল বান্দরবান জেলা প্রশাসন।