জিমখানায় অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বানিজ্যে হাজার হাজার টাকা আয় ,রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার ক্ষতিগ্রস্ত দেশ….

,
নিজস্ব প্রতিবেদক:-

পারিবারিক সূত্রে পাওয়া অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জন করায় আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছে নারায়ণগঞ্জ জিমখানার বিদ্যুৎ চোর বাচ্চুর ছেলে এক সময়ের ছিনতাইয়ের মামলার আসামি ও হত্যা সহ নানা অপকর্মের পরিচিত মুখ ডাকাত মিঠু বর্তমান নাম আশিক আহম্মেদ মিঠু ।

জিমখানা এলাকায় অবৈধ উপায়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়ার ব্যবসা শুরু করেছিলেন সেই ২০০০সাল থেকে জিমখানায় পরিচিত বিদ্যুৎ চোরা বাচ্চুর হাত ধরেই এর পর যত সময় গেছে বিদ্যুৎ চোর বাচ্চুর এই অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে বানিজ্য আরো বেড়েই চলেছিল ।

২০২৩সালে এই বিদ্যুৎ চোর বাচ্চু অসুস্থ হয়ে মৃত্যুবরণ করলে তার পর থেকে বাচ্চুর এই অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ বানিজ্য টি সম্পূর্ণ ভাবে পরিচালনা করেছেন বাচ্চুর ছোট ছেলে আশিক আহম্মেদ মিঠু ওরফে ডাকাত মিঠু ।এখন এই বিদ্যুৎ চোরা মিঠু ও তার সহধর ভাই সুবলা ভাণ্ডারী মিলে জানা যায় প্রায় শতাধিক বাসায় অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে প্রতি মাসে হাতিয়ে নিচ্ছে হাজার হাজার টাকা ।

অবৈধ এই বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে বৈদ্যুতিক হিটার ব্যবহারের ফলে অতিরিক্ত লোড পড়ে স্টেশন এলাকায় স্থাপিত বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের উপর। জিমখানা রেলওয়ে কোয়ার্টার এলাকার একাধিক নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, অবৈধভাবে কোয়ার্টার ভাড়া ও বিদ্যুৎ সংযোগ এটা নতুন কিছু নয়। দখল করা এসব কোয়ার্টারের প্রায় ঘরেই চলছে বিদ্যুতের হিটার চুলা।

অবৈধ কোয়ার্টার ভাড়া ও বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়ে জিমখানা এলাকার বাচ্চু মিয়ার ছেলে মিঠু ও একটি চক্র দীর্ঘদিন থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ লাখ টাকা। নারায়ণগঞ্জ মন্ডলপাড়া বিদ্যুৎ অফিস ও কিল্লাড়পুল অফিসের কিছু অসাধু কর্মকর্তারা এই সকল অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ কারি চক্রের থেকে নিয়মিত মাসোয়ারা পেয়ে থাকেন।

এ কাজে বিদ্যুৎ বিভাগের চিহ্নিত কতিপয় উর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের একটি সিন্ডিকেট জড়িত রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরেই এ অবৈধ কাজ চললেও জিমখানার বাচ্চুর ছেলে মিঠুর এই প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কেউ কিছু বলার সাহস পায় না।

আর যদিও কেউ কিছু বলে তবে বিদ্যুৎ চোর মিঠু ও আরেক ভাই সুবলা ওরফে ভাণ্ডারী মাদক ব্যবসায়ি ও পুলিশের ফরমা হওয়ার ফলে সেই সকল ব্যক্তিদের নানা ধরনের সমস্যার সম্মুখীন করেন পুলিশ সদস্যদের ব্যবহার করে। খোজ নিয়ে জানা যায় সুবলা ভান্ডারী একটি চায়ের দোকনের আড়ালে করেন বিভিন্ন ধরনের মাদকের বানিজ্য ফেন্সিডিল, ইয়াবা,গাজা,হেরোইনের বানিজ্য চলে দিনরাত ভানডারীর চায়ের দোকানের আড়ালে ।অন্য দিকে বিদ্যুৎ চোর মিঠু ও একজন মাদকের জোগান দাদা ও গাজা খোর।পিতা বাচ্চু মিয়ার মৃত্যুর পর এই গাজা খোর যেনো আরো বেশি নেশায় আসক্ত হয়ে পড়েছে।কারন বাবা বাচ্চু চোরা জীবিত থাকতে বিদ্যুৎ বিভাগের কোন সমস্যা হলে তাকে দিয়েই সব সমাধান করতেন কিন্তূ এখন তো সে নাই আর এই টেনশনে গাজাখোর মিঠু আরো পাগল হয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রের বক্তব্য।

সূত্রের বক্তব্যে আরো জানান যে মিঠুর বাবা বাচ্চু মিয়ার মৃত্যুর চার দিন না যেতেই এই নেশাখোর গাজাখোর মিঠু পাগল হয়ে যাতা ভিডিও করে সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে পোস্ট করে থাকে।

এমত্বস্থায় দ্রুত এই বিদ্যুৎ চোরা মিঠু ,ভাই সুবলা ভাণ্ডারী, সহ সকল অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া বিদ্যুৎ চোরদের কে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করে দেশের রাজস্ব ক্ষতি হওয়া থেকে বিরত রাখুন ।না হলে প্রতি বছর ৩০ থেকে ৫০ লাখ টাকা সরকারের রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে বলে এ সূত্রটি নিশ্চিত করে জানায়