নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
শাহিদা আক্তার(স্বপ্না খান), পিতা: মৃত মোহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম খান, সাং- গ্রাম: পশ্চিম বোতলা, থানা: ডাসার, জেলা: মাদারীপুর। বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগে প্র্যাকটিসরত আইনজীবীর
পৈত্রিক সম্পত্তি বি আর এস দাগ- ৫৮০, ৫৯৯ ও ৬০০ দাগে বিবাদী আসামী ১, খলিল খান ও ২, রশিদ খান এর প্ররোচনায় ৩,বজলুর রহমান খান ৪, জহুরুল ৫,বাহাদুর ফকির ৬। নূর নাহার ৭, কমেলা ৮, কাওসার খান বেদখল করার চেষ্টা করলে বিগত ১৫/১১/২৩ইং তারিখে আসামীদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৫ ধারা মোতাবেক আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত আবেদন গ্রহন করে পিটিশন মামলা-১৪৮৬/২৩ দায়ের করে স্থানীয় ডাসার থানাকে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখার নির্দেশ প্রদান করেন। অত:পর মামলায় স্বপনা খানের তত্ত্বাবধায়ক রোকসানা খানম সাক্ষী দেয়ায় আসামীরা রোকসানা বেগমকে হুমকী প্রদান করে অতপর ডাসার থানায় জিডি করলে থানা জিডি গ্রহন করে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরন করে যা পরবর্তীতে নন জি আর মামলা-১/২৪ হিসাবে দায়ের হয় বলে সাংবাদিকদের জানান। বর্তমানে সাক্ষি পর্যায়ে রয়েছে মামলাটি। অত:পর আসামীরা পুনরায় ১৪৫ ধারায় জারীকৃত সম্পত্তিতে বেদখল করার চেষ্টা করলে এ্যাডভোকেট স্বপ্না খানের চাচা বাধা প্রদান করতে গেলে তার চাচাকে মারধর করে তিনি সাথে সাথে ১৪৫ ধারার থানার আই ও কে জানালে ঘটনাস্থলে যায় এবং আসামীগনকে উপস্থিত দেখিতে পায় কিন্তু তাহাদের বকা ঝকা করিয়া আই ও চলিয়া যায়। পরবর্তীতে স্বপ্না খানের চাচাকে থানায় আসিয়া জিডি করার নির্দেশ দেয়। অত:পর তার চাচা জিডি করিলে তাহাও নন জি আর মামলা-৫/২৪ হিসাবে দায়ের হয় যা বর্তমানে বিচারাধীন পর্যায়ে রয়েছে। অত:পর বিগত ০৯/০৬/২৪ ইং তারিখে ১৪৫ ধারার পিটিশন মামলা-১৪৮৬ /২৪ এর তারিখ থাকলে এ্যাড,স্বপ্না খান হাইকোর্টের মামলার কাজে নিয়োজিত থানায় অন্য আইনজীবী কর্তৃক সময় চাওয়া হয় যাহা বিজ্ঞ আদালত মঞ্জুর করে ১৪/০৭/২৪ এ পরবর্তী তারিখ প্রদান করেন। অত:পর বিগত কোন এক তারিখের ১৪৫ ধারা ভংগের জন্য ১৮৮ ধারা মতে আবেদন করলে আদালত উক্ত দরখাস্ত খারিজ করেন যাহা ভুল বশত কজ লিস্টে মামলা খারিজ লেখা হয়। অত:পর আসামী বজলুর রহমান এলাকায় আসিয়া খোকা নামের এক ব্যক্তিকে দিয়া গরু বাধিবার জন্য খুটি স্থাপন করিতে পাঠালে বাদীর তত্তাবধায়ক রোকসানা খানম বাধা প্রদান করলে বজলুর রহমান মামলার রায় পাইয়াছে বলিয়া ভুল তথ্য প্রচার করে। তাহাদের কাজে বাধা দিলে রোকসানা খানমকে মারিয়া ফেলিবে বলে হুমকী প্রদান করে। উক্ত সময়ে বাদী রোকসানা খানম এর সহিত ভিডিও কলে কথা বলা রত অবস্থায় ছিলাম, নিজেও ভিডিও কলের মাধ্যমে কিসের রায় পাইয়াছে জানিতে চাইলে বাদীকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। ইতিমধ্যে বজলুর রহমান এর ভাগিনা জহুরুল, ভাগনী নূর নাহার, মেয়ে মৃনালা, মেয়ের জামাই নুরু, স্ত্রী কমেলা উক্ত স্থানে উপস্থিত হইয়া যায় এবং ভাগ্নি নুর নাহার রোকসান খানমকে হাতের টচ লাইট দিয়ে প্রথমে আঘাত করে এবং নুর নাহারের সাথে থাকা আসামিরা টানিয়া জংগলের দিকে টানিয়া নিয়া যাবার চেষ্টা করিলে রোকসানা নিজেকে আত্নরক্ষার চেষ্টা করিলে বজলুর রহমান রোকসানার হাতের মোবাইল কাড়িয়া নিয়া বজলুর রহমান ও জহুরুল তাহারা রোকসানাকে ধরিয়া রাখে অন্যরা ইট দিয়া তাহার সারা শরীরে অনবরত আঘাত করতে থাকে যাহা এ্যাড,স্বপ্না তাহাদের চিৎকার চেচামেচি ভিডিও কলের মাধ্যমে শুনিতে থাকে। তৎক্ষনাৎ ভিডিও কল না কাটিয়া ১৪৫ ধারার থানার আই ও কে অন্য মোবাইল হইতে ফোন দিয়া ভিডিও কলের শব্দ শুনাই এবং জানাই নালিশি জায়গায় মারামারি হচ্ছে। সে থানার বাহিরে আছে ডিউটি অফিসারকে ফোন করতে বলে ডিউটি অফিসারকে, মোবাঃ নম্বর না থাকায় পরিচিত লোক মারফত ডিউটি অফিসারকে জানানো হলে পুলিশ পাঠাচ্ছে বলে আমাকে জানানো হয়। অত:পর প্রায় ২৫/৩০ মিনিট অতিবাহিত হয়ে যাবার পর কোন পুলিশ আসেনি। অতপর ৯৯৯ এ কলের মাধ্যমে ডিউটি অফিসারকে জানালে ডিউটি অফিসার ফোন কলে পাল্টা রোকসানা খানম এর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠান । ডিউটি অফিসারকে বাদী ভিডিও কলের শব্দ ও ঘটনাস্থলে এখনো মারামারি হচ্ছে আপনি ঘটনা স্থলে না যেয়ে কিভাবে বুঝবেন কে কাকে মেরেছে? উক্ত সময়ে ডিউটি অফিসার আমাকে পাল্টা প্রশ্ন করেন ও বলেন আপনি তো স্পটে নাই আপনি কিভাবে জানলেন? ভিডিও কলে আছি জানাই এবং শুনাই বলেও সাংবাদিকদের জানান বাদী । ডিউটি অফিসার অত:পর প্রায় দুই ঘন্টা ৩০মিনিট পরে পুলিশরে ঘটনাস্থলে পাঠায় তখন আসামিগন উক্ত স্হান হইতে সরিয়ে যায়, অত:পর পুলিশ আসিয়া রোকসানা বেগম এর হাত হইতে রক্তপাত ঝরছে দেখিয়াও তাহাকে প্রশ্ন করে সে কোন ক্ষমতামুলে আমার জায়গার উপর বাধা প্রদান করিতে আসিয়াছে? সেই ক্ষমতাপত্র দেখিতে চায়। রোকসানা আহত অবস্থায় বাড়িতে যায় আমার দেয়া ক্ষমতাপত্র আনার জন্য, তাহার শারীরিক অবস্থা ভাল না থাকায় এবং কোথায় রাখিয়াছে তাহা মনে করিতে না পারায় আমি আমার মূল কপির ছবি তুলিয়া রোকসানার হসআপ নাম্বরে পাঠাই এবং তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে ভিডিও কলে থাকা অবস্থাতেই বার বার কথা বলিতে চাই কিন্তু তদন্ত কারী পুলিশ আমার সাথে কথা বলিতে চান না, অত:পর থানায় এসে মামলা করার কথা বলিয়া পুলিশ ঘটনাস্থল হইতে চলিয়া যায়। অত:পর রোকসানা বেগমকে স্থানীয় জেলা সদর হাসপাতালে রাত প্রায় ১২টায় জরুরি বিভাগে নিয়া গেলে জরুরি বিভাগ তাহাকে ভর্তি করাইয়া চিকিৎসা শুরু করেন। পরের দিন ১৩/০৬/৭ তারিখে ডাসার থানার ওসি ও পুলিশ সুপার বরাবর বিষয়ের লিখিতভাবে অবগত করিতে চাইলে ওসি এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তাহা গ্রহন না করিয়া মামলা করার পরামর্শ প্রদান করেন।
সর্বশেষ, তাহাদের জানাই বাদী মামলা করার জন্য আসিনি, যদি কালকের ঘটনায় মেয়েটির বড় কোন দুর্ঘটনা ঘটিতো সেক্ষেত্রে কি করতেন পুলিশকে যথা সময়ে জানানোর সত্তেও দেরিতে উপস্থিত হয় ঘটনা স্থলে। ওসির বক্তব্য ছিল এটা ঠিক হয় নাই, সে বুঝতে পারে নাই বলেও জানান বাদী।।