আব্দুর রাজ্জাক ডিমলা নীলফামারী প্রাতিনিধি
: নীলফামারী ডিমলায় ৪ সদস্য ডাকাত গ্রেফাতার করছে ডিমলা থানা পুলিশ গ্রেপ্তার কৃতগন হলেন মোঃ আলমগীর হোসেন (৩২), পিতা-মোঃ
লয়া প্রাং, সাং-মালিয়ান ডাঙ্গা, থানা-গাবতলী, মোঃ সোনা মিয়া (৩৩), পিতা-মোঃ রফিকুল ইসলাম, সাং-পদ্ম পাড়া (পশ্চিম পদ্মপাড়া),
থানা-সোনাতলা, উভয়ের জেলা-বগুড়া,আলী হোসেন ওরফে বাবু (২৭), পিতা-আবু বক্কর সিদ্দিক, সাং-বাঙ্গালীপুর (নিজপাড়া), মোঃ
মনিউল হোসেন ওরফে সবুজ (২৮), পিতা-মৃত বেলাল হোসেন, সাং-ইসলামবাগ উত্তর (ইসলামবাগ বড় মসজিদ), উভয়ের থানা-সৈয়দপুর,জেলা-নীলফামারী।
গনকে থানায় সোপর্দ পূর্বক এবং আসামীদের নিকট হইতে উদ্ধারকৃত ও জব্দকৃত নিম্ন বর্নিত আলামত থানায় জমাদান পলাতক মোঃ শান্ত ইসলাম (২৬), পিতা-আজাদুল হক, সাং-সোনাতলা ভেলুর পাড়া, থানা-সোনাতলা, জেলা-বগুড়া। রাত্রীকালীন জরুরী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা ডিউটি, মাদকদ্রব্য উদ্ধার, ওয়ারেন্ট
তামিল এবং বিশেষ অভিযান পরিচালনা ডিউটি অফিসার ইনচার্জ সাহেবের নেতৃত্বে করাকালে ইং-১৪/০৬/২০২৪ তারিখ রাত্রী অনুমান ০২.৩০
চির ঘটিকায় গুটিবাড়ী বাজার এলাকায় অবস্থানকালে গোপন সূত্রে জানিতে পারে ডিমলা থানাধীন ৭নং খালিশা চাপানী ইউনিয়নের অন্তর্গত
ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড অফিসের সামনে ডালিয়া তিস্তাব্যারেজ টু জলঢাকা গামী পাঁকা রাস্তায় কতিপয় দুষ্কৃতিকারী সমবেত হয়, রিফ্লেক্টিং ভেন্ট পরিধান করিয়া, সবুজ বাতির টার্গেট লাইট ব্যবহার করিয় ডাকাতি করেন রাত ৩.১০ মি গ্রেপ্তার করায়। জিজ্ঞাসাবাদ করিলে আসামীরা উক্ত নাম ঠিকানা প্রকাশ করে এবং তাহারা অপকটে স্বীকার করে যে, তাহারা সকলেই পূর্ব পরিকল্পিত ভাবে একই উদ্দেশ্য সিদ্ধিকল্পে উকৃত এলাকায় ডাকাতি করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করিতেছিলো এবং উক্ত পানি উন্নয়ন বোর্ডের অফিসের সামনে উক্ত পাকা রাস্তার উপর রিফ্লেরিং ভেষ্ট পরিহিত অবস্থায় এবং সবুজ বাতির টার্গেট লাইট (লেজার লাইট) ব্যবহার করে স্পিড ব্রেকার এর কাছে
ডাকাতি সংঘটনের উদ্দেশ্যে রাস্তায় চলাচলরত গাড়ি থামানোর জন্য সমবেত করেন। আসামীরা স্বীকার করে যে, তারা বাংলাদেশের উত্তর
অঞ্চলের আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তারা ভ্রাম্যমান অবস্থায়, কখনো মাইক্রো, কখনো জীপ, কখনো বাসে উঠিয়া সুবিধামতো
স্থান ও সময়ে ডাকাতি সংঘটন করে মর্মে অকপটে স্বীকার করে। আসামীরা ছদ্মবেশ ধারন করিয়া বিভিন্ন নিরাপত্তা বাহিনীর রিফ্লেক্সিং ভেস্ট ও
সবুজ বাতির টার্গেট লাইট (লেজার লাইট) ব্যবহার করিয়া গাড়ী ও মানুষ থামাইয়া ডাকাতি সংঘটন করে থাকে। আসামীদের বিষয়ে
সিডিএমএস যাচাই করিলে আসামী মো: আলমগীর এর বিরুদ্ধে বগুড়া গাবতলী থানার মামলা নং ২৪, তারিখ-১৮/০৭/১৭ ইং ধারা-৩৯৯/৪০২.
পেনাল কোড বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে। আসামী মো: সোনা মিয়ার বিরুদ্ধে বগুড়া দুপচাচিয়া থানার মামলা নং ২০, তারিখ- ২৬/০৮/২০
ইং ধারা-৩৯৪/৩৪২ পেনাল কোড বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে। এবং বগুড়া নন্দীগ্রাম থানার মামলা নং ১৩, তারিখ-২৩/০১/২৪ ইং ধারা-
৩৯২ পেনাল কোড বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে। আসামী মো: আলী হোসেন ওরফে বাবু এর বিরুদ্ধে বগুড়া নন্দীগ্রাম থানার মামলা
১৩, তারিখ-২৩/০১/২৪ ইং ধারা-৩৯২ পেনাল কোড বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে এবং বগুড়া সদর থানার মামলা নং-৭৭, তারিখ-
২৩/১০/২০২২ ইং ধারা-২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৭/৩০ ধারা। আসামী মো: মনিউল হোসেন ওরফে সবুজ এর
বিরুদ্ধে বগুড়া নন্দীগ্রাম থানার মামলা নং ১৩, তারিখ-২৩/০১/২৪ ইং ধারা-৩৯২ পেনাল কোড বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে এবং বগুড়া
দুপচাচিয়া থানার মামলা নং ২১ তারিখ-২৬/০৮/২৩ ইং ধারা-৩৯৪/৩৪ পেনাল কোড বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন আছে।
পরিকল্পিত ভাবে একই উদ্দেশ্য সিদ্ধিকল্পে, নিরাপত্তা বাহিনীর রিফ্লেক্টিং ভেষ্ট পরিধান করে এবং সবুজ রংয়ের টার্গেট লাইট (লেজার লাইট)
ব্যবহার করে, ছদ্মবেশ ধারণ করিয়া ডাকাতি করেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে বিকেলে আটকৃতদের আদালতে পাঠানো হয়েছে। যাহার মামলা নং- ১৭/২৪,তারিখ-১৪/০৬/২০২৪ ইং
ডিমলা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) দেবাশীষ কুমার রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।