আমি মানুষের সেবা করার ব্রত নিয়ে জনপ্রতিনিধি হওয়ার ইচ্ছাপোষণ করেছিলাম। নারীদের সামাজিক সুরক্ষা, অর্থনৈতিক মুক্তি, শিক্ষা চিকিৎসাসহ সর্বক্ষেত্রে কাজ করার ইচ্ছা থেকে মানুষের কল্যাণে কাজ করেছি।’ প্রতিটি পরিবারকে স্বনির্ভর করতে টেকসই শিক্ষার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া, যাতে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে একটি সমৃদ্ধ উপজেলা গড়ে তোলা যায়। আমাদের শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ দরকার। আমার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত শ্রীপুরবাসীর সেবা করতে চাই।
মানুষের সেবা করা আমার পেশা নয়, এটা আমার কাছে এখন নেশার মতো হয়ে গেছে। আমি এর বিনিময়ে কোনো কিছুর প্রত্যাশা করে কাজ করি না, যা করি নিজের মনের একান্ত ইচ্ছা থেকেই করি। খুব কম বয়সে আমি সমাজসেবায় নিজেকে প্রতিষ্ঠিতও করি। কিন্তু এলাকার মানুষের জন্য আরো কিছু করতে না পারার আক্ষেপ সবসময়ই ছিল। আমার কাছে এটা অনেকটাই অপরাধবোধের মতোই লাগে। সেই তাগিদ থেকে নির্বাচন করেছি। সেখানে কালো টাকা ও পেশিশক্তির কাছে পরাজিত হলে আমি স্বর্ণা ব্যাক্তিগত ভাবে জয়ী হয়েছি।
আমি নিজেকে সেচ্ছাসেবি হিসেবেই পরিচয় দিতে বেশি পছন্দ করি। এই যে আমার কাজগুলো, জনপ্রতিনিধি না হলেও করব। তবে এটা আমাকে মানুষের অনেক কাছে যেতে সাহায্য করেছে। আপনার পাশে বসা মানুষকে যদি আপনি ভাল রাখতে পারেন, তবেই আপনি সফল। আমি মনে করি সবার আগে ভাল মানুষ হতে হবে। মানুষকে ভালোবাসতে হবে। এটি এমন একটি নেশা খেয়াল রাখতে হবে যেন টাকার নিচে আপনার মনুষ্যত্ব ঢাকা না পড়ে যায়। মানুষের সেবায় নিজেকে সবসময় নিয়োজিত রাখতে হবে, টাকা বা লাভ লোকসান বিবেচনায় আনা যাবে না।
আমার চাওয়া জীবনের একমাত্র চাওয়া দেশের মানুষের পাশে দাঁড়াতে চাই। মানুষের পাশে থেকে দেশের সেবা করতে হলে রাজনীতিতে তো যুক্ত হতে হবে। আমার বিশ্বাস কাজটি ভালোভাবে করতে পারব। তবে অবশ্যই আওয়ামী লীগ দলে থেকে কাজ করতে চাই। কারণ আপার (শেখ হাসিনা) মতো একজন নেত্রী পাওয়া দেশের জন্য সৌভাগ্যের। তার সঙ্গে কাজ করতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে করব।