আসন্ন পৌর নির্বাচনে দেশের দ্বিতীয় বৃহৎ শ্রীপুর পৌরসভায় আ.লীগের মনোনয়ন চান পৌর আ.লীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম মন্ডল বুলবুল। ছাত্রজীবন থেকে তিনি আ.লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। ৪০ বছরের রাজনৈতিক জীবনে দলের জন্য নানা ঘাত-প্রতিঘাত সহ্য করে পৌর আ.লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। পৌরসভায় এ যাবৎকালে যোগ্য মেয়র নির্বাচিত না হওয়ায় বরাবরই অনিয়ম দূর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। তাছাড়া রাজনৈতিক জীবনে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন বলিষ্ঠ সৈনিক ও জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে নিজ দল বাংলাদেশ আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন। মনোনয়ন পেলে অবশ্যই নির্বাচিত হবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। নির্বাচিত হলে শ্রীপুর পৌরসভাকে দেশের মধ্যে অনিয়ম দুর্নীতি ও মাদকমুক্ত মডেল পৌরসভা হিসেবে গড়ে তুলবেন।
একজন সৎ, আদর্শিক, বিচক্ষণ, মেধাবী ও নির্লোভ ব্যক্তিত্ব। ছাত্র রাজনীতি দিয়ে রাজনৈতিক জীবনের যাত্রা শুরু করেন। এরপর জাতির জনক বন্ধবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের রাজনৈতিক দর্শন, একটি জাতির মুক্তির প্রদর্শক ‘ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত, দুঃখী বাঙালির মুখে হাসির স্বপ্ন লালন করে সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি, বন্ধবন্ধুর দার্শনিক পথের অনুসারী হয়ে যার ঐতিহাসিক ৭ মার্চের পৃথিবী কাঁপানো একটি জাতির মুক্তির দিকনির্দেশনামূলক ভাষণ শুনে বন্ধবন্ধুর সেই বজ্রকণ্ঠ যার রাজনৈতিক চেতনাকে শ্বানিত করে। যে কারণে ৯ম শ্রেণিতে অধ্যয়নকালে ১৯৮১ সালে স্কুল কমিটির সভাপতি হিসেবে শ্রীপুরের ঐতিহ্যবাহি আলহাজ্ব ধনাই বেপারি মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ছাত্র রাজনীতির শুরু করেন শ্রীপুর পৌর মেয়র প্রার্থী রফিকুল ইসলাম মন্ডল বুলবুল।
প্রকৃতপক্ষে রফিকুল ইসলাম মন্ডল বুলবুল এর রাজনীতির দর্শনই হলো শ্রীপুরের জনমানুষের কল্যান সাধন করা। তিনি সেই তৃণমূল থেকে রাজনীতি করে আসছেন। রাজনীতিতে এসেছিলেন রাজনৈতিক অভিবাবক, শ্রীপুরের গণমানুষের নেতা এডঃ রহমত আলী এমপি (সাবেক মন্ত্রী) মহোদয়ের হাত ধরে। এটাও সত্য, আজকের এই রাজনীতি জাতির পিতার আদর্শের, এডঃ রহমত আলী এমপি মহোদয়ের আশীর্বাদের। চেষ্টা করেছেন নিজেকে উজার করে দিতে মানুষের কল্যানে, মানুষের সেবায়। জানা সত্বে কখনো কারোর কোনো অনিষ্ট করেননি।। এবং বিশ্বাস করেছেন, শ্রীপুরের রাজনীতি হবে সহনশীল আর তা সম্ভব করতেও পেরেছেন। আর রাজনীতিতে প্রতিপক্ষই থাকতেই পারে সেক্ষেত্রে সহবস্থান স্পটত। তিনি বিশ্বাস করেন, বরাবরের মত শ্রীপুরবাসির ভালোবাসা অব্যহত থাকলে শ্রীপুরের জন্য আরো অনেক কিছুই করা সম্ভব। তার ধ্যান-জ্ঞান, চিন্তা-চেতনা, শ্রীপুরের জন্য শ্রীপুরের জনগনের জন্য। এই জনপদ প্রাণের, জাগ্রত নাড়ীর অস্ত্বিত্বের অহংকার।
এক নজরে রফিকুল ইসলাম মন্ডল বুলবুল এর পরিচিত
ছাত্র রাজনীতিঃ
স্কুল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ১৯৮১ সন।
শ্রীপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহ সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত ১৯৮৩ সন।
শ্রীপুর ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সহ সভাপতি নির্বাচিত ১৯৮৫ সন।
শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক নির্বাচিত ১৯৮৭ সন।
শ্রীপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত ১৯৮৮ সন ( প্রতক্ষ ভোটে নির্বাচিত),
গাজীপুর জেলা ছাত্রলীগের সদস্য ১৯৮৯ সন।
সৈরাচার বিরোধী আন্দোলনঃ
১৯৯০ জানুয়ারিতে সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক মনোনীত।
শ্রীপুর ডিগ্রী কলেজ ছাত্র সংসদ নির্বাচিত প্রধান সমন্বয়ক ও মনোনয়ন বোর্ডের আহবায়কের দায়িত্ব পালন।
আ.লীগ রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ততাঃ
শ্রীপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সদস্য- ১৯৯২ সন।
শ্রীপুর পৌর আ.লীগের সভাপতি নির্বাচিত- ২০০৩ সন। ২০০৭ সালে ২য় বার, ৩য় বার নির্বাচিত- ২০১৫ সন।
জনপ্রতিনিধিঃ
২০১৪ সালের ৩১ মার্চ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আ.লীগ মনোনীত ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে যুক্তঃ শ্রীপুর ডিগ্রী কলেজের অভিভাবক প্রতিনিধি পদে প্রত্যক্ষ ভোটে ১ম স্থান অধিকার করে অভিভাবক প্রতিনিধি নির্বাচিত-১৯৯৫।
ব্যায়াম প্রশিক্ষনে অংশগ্রহণ করে বাংলাদেশে তৃতীয় স্থান লাভ করে কলেজ পরিচালনা পরিষদের অভিভাবক প্রতিনিধি রূপে বিশেষ মর্যাদা লাভ।
শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী কলেজের আজীবন দাতা সদস্য।
মিজানুর রহমান খান মহিলা ডিগ্রী কলেজের আজীবন দাতা সদস্য।
শ্রীপুর মুক্তিযোদ্ধা রহমত আলী কলেজের ১৫ বছর যাবত পরিচালনা পরিষদের বিদ্যোৎসাহী সদস্য অধ্যাবধি পর্যন্ত।
ভাংনাহাটি মহিলা মাদ্রাসা পরিচালনা পরিষদের সভাপতি (৩য় বার)।
সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনঃ
শ্রীপুর ডায়াবেটিস সমিতির আজীবন দাতা সদস্য ও সভাপতি।
শ্রীপুর সুবচন নাট্যগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা।
শ্রীপুর নাগরিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক ও বর্তমানে সভাপতি।
সমীকরণ (নাট্য ও সাংস্কৃতিক সংগঠন) এর প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
শ্রীপুর উপজেলা কবি পরিষদের প্রধান উপদেষ্টা।
ছাত্রজীবনে রোভার স্কাউটে যুক্ত।
বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ত।
জনহিতকর প্রতিষ্ঠানঃ
বুলবুল ফাউন্ডেশন এর প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।
স্থানীয় ও দৈনিক পত্রিকার সাথে যুক্তঃ
প্রধান সম্পাদক, দৈনিক প্রাইম।
প্রতিষ্ঠাতা, মাসিক আগন্তুক।
রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের হামলা ও মামলা এবং কারা নির্যাতনের স্বীকারঃ
১৯৮২ সালে সৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে পুলিশি নির্যাতন।
১৯৮৩ সালে এরশাদের পেটুয়া বাহিনীর রামদার আঘাতে মারাত্বক আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি।
১৯৮৫ সালে জাতীয় ছাত্র সমাজের হাতে লাঞ্ছিত।
১৯৮৯ সালে সৈরাচার আন্দোলনে গ্রেফতার ও কারাভোগ।
১৯৯৪ সালে ছাত্রদল কর্তৃক আ.লীগ অফিসে হামলা প্রতিরোধে এগিয়ে আসলে ছাত্রদলের গুন্ডবাহিনীর চাপাতির আঘাতে মারাত্বক আহত হয়ে মাসাধিক চিকিৎসাধীন ছিলেন।
২০০১ সালে বিএনপির গুন্ডবাহিনী পুকুরের সব মাছ উঠিয়ে নিয়ে যায় এবং হামলা ও লুটপাট চালায়।
২০০২ সালে ১৫ আগষ্ট পালনকালে গুন্ডা বাহিনী বাড়িতে হামলা ও লুটপাট চালায়।
২০০১ সাল থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত বিএনপি কর্তৃক ১১ টি মামলা দিয়ে ব্যাপক হয়রানি করে।
জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সৈরাচার বিরোধী আন্দোলন এবং বিএনপির গণবিরোধী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে রাজপথে সর্বদা সম্পৃক্ততা।
রাজনৈতিক সেরা সাফল্যঃ
আলহাজ্ব এডভোকেট রহমত আলী এমপি মহোদয়ের নির্দেশে ও উপজেলা আওয়ামিলীগের বর্ধিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শ্রীপুর সদরে ৩ তলা বিশিষ্ট দলীয় কার্যালয় নির্মাণ।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিপুর ভোটে বিজয় লাভ।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের রাজনৈতিক দর্শনে দীক্ষিত।
বিএনপি কর্তৃক ২০০১ সালে রহমত আলী ভবনে হামলার প্রত্যক্ষ প্রতিবাদকারী ও নির্যাতনের স্বীকার।
আওয়ামিলীগের ও জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সকল দিকনির্দেশনা যথাযথভাবে পালন ও ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কর্মসূচিসহ সকল উন্নয়ন কর্মকান্ডে আওয়ামীলীগের কর্মি হিসেবে নিরন্তর ও নির্লোভ ভাবে কাজ করে যাওয়া।
অঙ্গীকারঃ
জননেত্রী শেখ হাসিনার নীতি আদর্শ ও নির্দেশনা কর্তব্য পরায়নের সাথে যথাযথ ভাবে পালন।
জবাবদিহিমূলক শ্রীপুর পৌরসভা গঠনে ভূমিকা রাখা।
সন্ত্রাস ও দুর্নীতি মুক্ত সমাজ গড়া।
মাদকমুক্ত শ্রীপুর পৌরসভা গড়া।
বাল্যবিবাহ ও এসিড সন্ত্রাস রোধে কার্যকরী উদ্যোগ নেওয়া।
সততা ও সাম্যের ভিত্তিতে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা করা।
আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় নিরন্তর কাজ করা।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অসাম্প্রদায়িক সমাজ গড়া।
গরীব দুঃখী অসহায় ও অসচ্ছল মানুষের পাশে দাঁড়নো। সকল অবহেলিত, পিছিয়ে পড়া ও প্রতিবন্ধীদেরকে সমাজে বোজা না ভেবে কর্মক্ষম ও সমান মর্যাদার নাগরিক হিসেবে প্রতিষ্ঠা।
শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ
এস এস সি (বিজ্ঞান) ২য় বিভাগ- ১৯৮৪
এইচ এস সি (বিজ্ঞান) ২য় বিভাগ- ১৯৮৬
বিএসসি- ২য় শ্রেণি (ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়)- ১৯৯০
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মাস্টার্স, ২০১২এল এল বি প্রথম বর্ষ।
বিশেষ যোগ্যতাঃ কবিতা আবৃত্তি, অভিনয়, ফুটবল, এ্যথলেটিক্স।
পত্র পত্রিকায় লেখালেখি, কবিতা ছড়া লেখা।
প্রকাশিত বইঃ
সমসাময়িক রাজনীতি: অপরিহার্য বাংলাদেশ আ.লীগ
বৈবাহিক অবস্থা- বিবাহিত।
সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান, শ্রীপুর উপজেলা পরিষদ, গাজীপুর।
সাবেক সভাপতি, শ্রীপুর পৌর আ.লীগ,
আহ্বায়ক, শ্রীপুর নাগরিক ফোরাম, শ্রীপুর, গাজীপুর।