ভোট শেষ হয়েছে। ভোটারদের মধ্যে আমেজ বিরাজ করলেও শেষ সময়ে দেখা দিয়েছিল ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। স্থানীয়রা বলছেন, প্রতীক বরাদ্দের পর থেকেই আনারস প্রতীকের প্রার্থীর সমন্বয়ক মেয়র আনিছ ও তার অনুসারীরা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের নিয়ে নানা কুরুচীপূর্ণ বক্তব্য দিয়েছিল। আর সাধারণ ভোটারদের দিচ্ছেন নানা হুমকি। এতে করে ভোটারদের মাঝে দেখা দিয়েছিল চরম বিরক্তভাব।
এদিকে আনারস প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল জলিল সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। গেলো নির্বাচনে জনগণ তাকে প্রত্যাখান করলে তিনি বেপরোয়া হয়ে উঠেন। পরে তার অনুসারীদের নিয়ে বিভিন্ন বেফাঁস বক্তব্য ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা কুরুচীপূর্ণ মন্তব্য ও মিথ্যা তথ্য সরবরাহ শুরু করে। তাতে আরো ঘি ঢেলে দেন মেয়র আনিছ।
শ্রীপুর পৌরসভার মেয়র আনিছ নিজ ৫ নাম্বার ওয়ার্ডে তিনটি কেন্দ্র। তিনটি কেন্দ্রের ফলাফল: কেওয়া পূর্বখন্ড সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়: ঘোড়া: ৭৪২, আনারস: ২৯৩ ব্যবধান: ৪৪৯, গিলারচালা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাস্টারবাড়ি: ঘোড়া: ৬৭৪, আনারস: ১৯৫, ব্যবধান: ৪৭৯, তুলা গবেষণা কেন্দ্র স্কুল, মেয়র সাহেবের বাড়ির কেন্দ্র: ঘোড়া:৬৮৫, আনারস: ৪০২, ব্যবধান: ২৮৩
৫ নাম্বার ওয়ার্ডে ঘোড়া প্রতীক পেয়েছে সর্বমোট: ২১০১ আর আনারস পেয়েছে: ৮৯০ ব্যবধান হচ্ছে: ১২১১, পরিসংখ্যানটা তুল ধরলাম কারন মেয়রের এই ৫ নাম্বার ওয়ার্ডে আমারও বাড়ি, আমার বাবা রমিজ উদ্দিন আহমেদ এই ওয়ার্ডেরই বর্তমান কাউন্সিলর৷ মেয়র আনিস উপজেলা নির্বাচনের সময় যে ধরনের বক্তব্য দিয়েছে দূর্জয় ভাইয়ের বিরুদ্ধে সেজন্য এই পরিসংখ্যানটা শ্রীপুর উপজেলাবাসীর কাছে তুলে ধরলাম। কাউকে আন্ডার ইস্টিমেট করে, গালিগালাজ করে কথা বলা এই বয়সে আপনার সাথে, আপনার চেয়ারের সাথে যায় না মেয়র মহোদয়।
আজকে দেশের মানুষ জেনে গেছে জনসমর্থনহীন মেয়র আনিছ ভেলকিবাজিতে জলিলের ভোট বিপর্যয়।