today visitors: 5073432

রিক্সা ওয়ালা হাবিবুরকে বাড়ি ও ইজিবাইকের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন গৌরীপুরের সাংসদ পপি এমপি

 

মোঃ মনিরুল ইসলাম খান, ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সহনাটি ইউনিয়নের সোনাকান্দি গ্রামের বাসিন্দা, হতদরিদ্র রিকশা চালক মোঃ হাবিবুর রহমান মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর উপহার পেয়েছেন। হাবিবুর রহমানের বয়স ৭৭ বছর। বাবার মৃত্যুর পর ১৯৬৯ সালে ২২ বছর বয়সে ঢাকায় পাড়ি জমান রিকশা চালাতে। আজও রিকশাই চালাচ্ছেন। চার মেয়ে, সবার বিয়ে দিয়েছেন। মেয়েদের বিয়ে হয়েছে গরীব ঘরে, বাপকে দেখার অবস্থা তাদের নেই। কোনো ছেলে সন্তানও নেই যে তাকে দেখবে। স্ত্রী আছেন, গ্রামে থাকেন। কিন্তু সেখানেও ভিটে ছাড়া কিছু নেই। তাই বাধ্য হয়েই ঢাকায় রিকশা চালাতে হচ্ছে তাকে। শরীর ভালো না হাবিব মিয়ার, স্ট্রোক করেছে একাধিকবার। ঢাকায় সারাদিন রিক্সা চালান রাতে রাস্তাতেই থাকেন। ধানমন্ডি ৭ নং রোডের ওখানে তাপস সাহেব যে অফিস করেছে, তার সামনে রাস্তায় থাকেন। একটা লুঙ্গি, একটা গামছা, একটা দাঁতের মাজন, একটা চাদর- এই নিয়ে তার সংসার। আর এই প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো তার রিকশার সিটের নিচে থাকে। রাতে এগুলো বের করে রাস্তায় ঘুমিয়ে পড়েন। বিষয়গুলো ঢাকায় কর্মরত সাংবাদিক মামুনের চোখে পড়লে, তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার করেন। যা আবার গৌরীপুরের সাংসদ এডভোকেট নিলুফার আনজুম পপি এমপি মহোদয়ের দৃষ্টিতে আসে। তারপর প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব তোফাজ্জল হোসেনের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বরাদ্দ পান হাবিবুর। হাবিবুরের কর্মসংস্থানের জন্য ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মাকসুদ চৌধুরী তাকে একটি ইজিবাইক উপহার দেন।

আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর বুঝিয়ে দিতে হাবিবের গ্রামের বাড়িতে যান, গৌরীপুর সংসদীয় আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট নিলুফার আনজুম পপি এমপি মহোদয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন, গৌরীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শাকিল আহমেদ, সুমন চন্দ্র রায় পিপি সেবা অফিসার ইনচার্জ গৌরীপুর থানা, উপজেলা প্রকৌশলী অসীম দেবনাথ, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সোহেল রানা পাপ্পু, মোঃ মিজানুর রহমান রতন, এ.এস.এম দেলোয়ার হোসেন, সালাউদ্দিন কাদের রুবেল চেয়ারম্যান, শাকিল মাহমুদ, শাহীন আহমেদ শামীমসহ গৌরীপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ ও বিভিন্ন প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকগণ।