মো:সুমনমিয়া. বিশেষ প্রতিনিদি,
অনুকুল আবহাওয়া, রোগ-বালাই কম ও সঠিক পরিচর্যার কারণে দিনাজপুরের বিরামপুরে আশানু- রুপ আখ উৎপাদন হয়েছে। এখানকার উৎপাদিত আখ খেতে সুস্বাদু ও মিষ্টি। অন্য ফসলের তুলনায় বেশি লাভজনক হওয়ায় আখচাষে ঝুঁকে পড়ছেন কৃষকরা
উঁচু জমি, পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকায় আখের বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উপজেলায় ঈশ্বরদী গেন্ডারি জাতের আখের (কুষার) ফলনও ভালো হয়েছে। স্বল্প খরচ, অধিক লাভজনক ও নগদ অর্থে বিক্রি হওয়ায় উপজেলায় আখ চাষের প্রবণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাজারে চাহিদা থাকায় এবং ভালো মূল্য পাওয়ায় আখ চাষিরাও সন্তুষ্ট। আবহাওয়া ও মাটির গুণাগুণের উপর এবং আখের আশানুরুপ ফলন এবং বাজারে চাহিদা থাকায় দিন দিন কৃষকদের মধ্যে আখ চাষে আগ্রহ বৃদ্ধি পাচ্ছে। কৃষকরা জানান, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া গেলে আরো অধিক হারে পতিত জমিতে আখ চাষ সম্প্রসারণ করা সম্ভব হবে। উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে আখের বেশ চাহিদা রয়েছে।
এখানকার উৎপাদিত আখের স্বাদ বেশ সুস্বাদু ও মিষ্টি। তাই পাইকারদের নিকট এসব আখের চাহিদাও বেশি। চাহিদা থাকার কারণে কৃষকরা ক্ষেতেই ভালো দাম পাচ্ছেন। খুচরা বিক্রেতারা আখক্ষেতে চাষিদের নিকট থেকে আখ ক্রয় করে বাজারে ভালো দামে বিক্রি করে লাভবান হচ্ছেন বছরের তিন মাস বাজারে আখ বেচাকেনা করে লাভবান হচ্ছে কৃষকসহ খুচরা-পাইকারি বিক্রেতারা। খুচরা বাজারে আকার সাইজ ভেদে প্রতিটি আখ ২০-৩০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতিবিঘা জমিতে আখ উৎপাদনে ৪০- হাজার টাকা ব্যয় হচ্ছে। উৎপাদিত আখ বিক্রি হচ্ছে দেড় থেকে ২ লক্ষ টাকায়। উপজেলার জোতবানী ইউনিয়নের আমাইল গ্রামের হারুন, পলিপ্রয়াগপুর নলকুরা গ্রামের সাজেদুর,মতিউল ইসলামসহ বিরামপুর পৌরসভার আখচাষি মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে রিপন মিয়া
জানান, আখ একটি লাভজনক ফসল।