today visitors: 5073432

ইরানের হামলার মুখে ইসরাইলকে সহায়তা, কী বলছেন জর্ডানের সাধারণ মানুষ

 

অনলাইন ডেস্ক

১৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩০ পিএম | অনলাইন সংস্করণ

ইসরায়েলকে সহায়তা করায় জর্ডানে বিক্ষোভ

ইরানের হামলার মুখে ইসরাইলকে সহায়তা করায় জর্ডানে সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ। ছবি: ডয়চে ভেলে

Advertisement

সিরিয়ার দামেস্কে ইরানের কনস্যুলেটে হামলার জবাবে গত শনিবার দিবাগত রাতে ইসরাইলে তিন শতাধিক ড্রোন ও মিসাইল হামলা করে তেহরান। কিন্তু এগুলো যেন ইসরাইল পর্যন্ত না পৌঁছে সেই চেষ্টা করেছে জর্ডান। আত্মরক্ষার জন্য এটি করা হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে জর্ডান সরকার।

বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, এগুলো আমাদের জনগণ ও জনবহুল এলাকার জন্য হুমকিস্বরূপ ছিল।

Advertisement

কিন্তু কয়েক সপ্তাহ ধরে ইসরাইলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা জর্ডানের নাগরিকেরা তাদের সরকারের এমন কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করেছেন। হুসেইন নামে দেশটির একজন রাজনৈতিক অ্যাক্টিভিস্ট বলেন, জর্ডান যেভাবে ইসরাইলকে রক্ষা করেছে তাতে আমি খুবই বিরক্ত৷

 

বিপদের আশঙ্কা থাকায় তিনি তার পুরো নাম উল্লেখ করতে চাননি।

 

তিনি আরও বলেন, এখানকার অনেকেই এটা মেনে নিচ্ছে না। আমরা ইরানকে সমর্থন করি না এবং গাজায় এখন যা ঘটছে তার পেছনে ইরানের বড় ভূমিকা আছে বলে মনে করি। কিন্তু গাজায় ইসরাইলের কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করে এমন যেকোনো পদক্ষেপের সঙ্গে আমরা আছি।

মারিয়াম নামে আম্মানের এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী বলেন, জর্ডানে ইরানের জনপ্রিয়তা নেই। কিন্তু আমি ইরানের নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র জর্ডানের বাধা দেওয়া ও অনিচ্ছাকৃতভাবে এই যুদ্ধে জড়িয়ে পড়া প্রত্যাখ্যান করি।

জর্ডানের রানিসহ প্রতি পাঁচজনের একজন ফিলিস্তিনি বংশোদ্ভূত।

তবে আম্মানের সামরিক বিশ্লেষক মাহমুদ রিদাসাদ বলেন, সপ্তাহান্তে যে ঘটনা ঘটেছে তাকে ‘কখনও ইসরাইলকে রক্ষার জন্য করা হয়েছে তেমনটা বলা যাবে না, বরং জর্ডানের সার্বভৌমত্ব এবং আকাশসীমা রক্ষার জন্য করা হয়েছে’৷ কারণ ড্রোন বা মিসাইল কোথায় পড়বে তা জানা যায় না বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে জর্ডান সহায়তা করেছে বলে ইসরাইলের গণমাধ্যমে খুশির খবর প্রকাশ সম্পর্কে রিদাসাদ বলেন, এটা ইসরাইলের প্রোপাগান্ডা ছাড়া কিছু নয়।

জর্ডান