#লেখক__মোঃ__নিশাদজকে দুইটা পর্ব দিছি যারা পর্ব ৮ পড়েননি তাঁরা পড়ে নিবেন।
____এই বলে কবিরাজ আমাদের বলতে শুরু করলেন। ওনি আমাকে আগে একটা প্রশ্ন করলেন কবিরাজ বললেন।
কবিরাজ – আচ্ছা নিশাদ, সুমন তোমার কেমন বন্ধু।
আমি- ভালো বন্ধু আমরা দুজন তো বেস্টফ্রেন্ড যেখানে যাই এক সাথে যাই।
কবিরাজ – তুমি মাঝে মাঝে সুমনের সাথে রাতের বেলা ওর gf সাথে দেখা করতে যেতে মনে আছে।
আমি- হ্যাঁ, কিন্তু আপনি এসব জানলেন কি করে।
কবিরাজ – আমি আমার সাথে থাকা জ্বিনের মাধ্যমে এসব খবর নিছি তুমি সত্যি টা বলো।
আমি- হ্যাঁ আমি সুমনের সাথে মাঝে মাঝে রাতে ওর gf সাথে দেখা করতে যেতাম, ওরা জঙ্গলে দেখা করতো আমি একটু দূরে দাঁড়িয়ে থাকতাম।
কবিরাজ – এবার একটা কথা ভালো করে মনে করে বলো,, বেশ কিছুদিন আগে তুমি যখন সুমনের সাথে ওর gf সাথে দেখা করার জন্য গিয়েছিলে, তখন তোমাদের সামনে দুটো সাপ এসেছিলো।
আমি- হ্যাঁ হ্যাঁ মনে আছে, ওই সাপ দুটোকে হঠাৎ দেখে ভয় পেয়ে গেছিলাম, আমিতো পাশে থাকা লাঠি দিয়ে একটা সাপকে মেরেও ফেলছিলাম।
কবিরাজ – হ্যাঁ ভুলটা করছো এই যায়গায়। তুমি জানো ওই দুটো সাধারণ কোন সাপ ছিলোনা। ওই দুইটা ছিলো জ্বিন সাপ রুপে ঘুরাঘুরি করছিলো। তুমি যাকে মেরেছো সেটা কোন জ্বিন জানো।
আমি – না কে সে।
কবিরাজ – সেটা আর কেউনা, তুমি যাকে নাগীন বলো, সেই নাগীনের স্বামী। 😮
ওরা স্বামী স্ত্রী দুজনে সাপ রুপে ঘুরে বেড়াচ্ছিলো। হঠাৎ ওরা তোমাদের সামনে পড়ায় নিজের রুপ বদলাতে পারেনি আর তুমি একটা সাপকে মেরে ফেলছো।
তুমি পরীর স্বামীকে মেরে ফেলছো, তাই পরী নাগীন রুপে তোমার সামনে আসছে, তোমাকে ভালোবাসার কথা বলে বোকা বানিয়েছে।
মনে আছে নাগীন কি বলছিলো, আমাবস্যার রাতে তোমাকে ওর মা বাবার সাথে দেখা করাবে।
আমি- হ্যাঁ বলছিলো।।
কবিরাজ – আজ সেই আমাবস্যার রাত, আজ আমি তোমাদের কাছে না আসলে, সব কথা খুঁলে না বললে তুমি পরীকে বিশ্বাস করে ওর সাথে যেতে আর ও তোমাকে কষ্ট দিয়ে দিয়ে মারতো৷ পরী চাইলে সাথে সাথে তোমাকে মারতে পারতো কিন্তু ও চায় তুমি কষ্ট পেয়ে পেয়ে মরো৷
কবিরাজের মুখে কথাগুলো শুনে মাথা ঘুরতে শুরু করলো। নাগীন আমার সাথে এসব করলো। বিশ্বাসী হচ্ছেনা। আমাকে চিন্তিত দেখে কবিরাজ বললো।
কবিরাজ – তুমি কোন চিন্তা করোনা। আল্লাহর রহমতে তোমার কিছু হবেনা। আমি তো আসছি, আমি থাকতে আর কোন ভয় নেই আমি পরীকে বোতলে ভরে মেরে ফেলবো।
এই কথাটা বলে কবিরাজ, আমাদের বাড়ি থেকে। বেড়িয়ে গেলেন।
____কবিরাজ চলে যাওয়ার পর বাবা আমাকে শান্ত করে বললেন। চিন্তা করিসনা বাবা কবিরাজ তো বললো ওনি পরীকে ধরে বোতল বন্ধি করবেন।
এই বলে মা বাবাও চলে গেলেন। আমি বসে রইলাম বিছানায়। নাগীন কি আসলেই এটা করতে পারছে।
আমি ওর মুখে এসব শুনতে চাই। এই ভেবে কাউকে কিছু না বলে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে সোজা চলে গেলাম জঙ্গলে।
তখন সন্ধা নেমে গেছে। আমি জঙ্গলে গিয়ে ডাকছি, নাগীন কোথায় তুমি।
আমার ডাকে নাগীন পিছন থেকে বললেন।
নাগীন – নিশাদ, কি হইছে এভাবে ডাকছো কেনো। হঠাৎ কিছু না বলে তুমি এখানে।
আমি- নাগীন আমার দিকে তাকাও। কথা আছে তোমার সাথে।
নাগীন- কিহহ কথা বলো।
আমি- কে তুমি।
নাগীন- মানে আমি আবার কে আমি নাগীন।
–প্রিয় পাঠক পাঠিকা, অনেকেই বলেন,গ্রুপে গল্পের নেক্সট পর্ব গুলো খুজে পাই না, তাই আইডিতে আমার আইডিতে ফলো দিয়ে রাখেন , তাহলে নেক্সট পর্ব গুলো খুজতে সমস্যা হবে না, নেক্সট পর্ব সবার আগে পেতে ,সবাই আমার প্রফাইলে ফলো দিয়ে সাথে থাকুন—
আমি- না, মিথ্যা বলোনা আমি সব জেনে গেছি।। কেন আমার সাথে এসব করলা, তোমাকে ভালোবাসতে শুরু করছি এভাবে আমাকে ধোঁকা দিলা। তুমি নাকি নাগীন না তুমি নাকি পরী। বলো সব সত্যি বলো।
আমার কথায় নাগীন, কোন কথা না বলে আমার দিকে তাকিয়ে হা হা করে হাঁসতে হাঁসতে বললেন।
নাগীন – ওহহ তাহলে তুমি সব কিছু জেনে গেছো,, জেনে যেহেতু গেছো,, তোমাকে মরতে হবে। যেভাবে আমার স্বামীকে পিটিয়ে মেরে ফেলছো,, অনেক কষ্টে মারা গেছে আমার স্বামী আমি তোমাকে সেভাবে কষ্ট দিয়ে মারবো।
এই কথাটা বলে, নাগীন মানে পরী আমার আমার সামনে তার রুপ বদলিয়ে ভয়ংকর রুপ ধারণ করলেন।
এদিকে পরীর ভয়ংকর রুপ দেখে,, আমি সেখান থেকে দৌড় দিতে জাবো, তখনি পরী রেগে আমাকে সজোড়ে আঘাত করে মাটিয়ে ফেলে দিলেন।
মাটিতে পড়ে আমি ব্যাথায় চিৎকার দিয়ে উঠলাম৷ এদিকে পরী তখন ভয়ংকর রুপে আমার দিকে এগিয়ে আসতে লাগলেন।
পরী এগিয়ে আসাতেই আমি ওকে বলতে লাগলাম, পরী না আমার দিকে এসোনা। আমি তোমার স্বামীকে ইচ্ছে করে পারিনি। আমি জানতাম না তোমরা দুজন সাপ রুপে ঘুরছিলে।
আমার কথায়, পরী কোন তোয়াক্কা না করে আমাকে আঘাত করতে আসলেন, ঠিক তখনি সেখানে সেই কবিরাজ এসে,, দূর্ত পরীকে ধরে বোতল বন্ধি করলেন।
পরী এখন বোতল বন্ধি।
গল্পর কাহিনি এখনো অনেক বাকি। সামনের পর্বে আরো সব জানতে পারবেন।