today visitors: 5073432

ম্যানেজারের পারিবারিক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে সৈয়দপুর বিমানবন্দর রেষ্ট হাউজ

 

শাহজাহান আলী মনন, সৈয়দপুর

(নীলফামারী) প্রতিনিধি:

সৈয়দপুর বিমানবন্দরের রেষ্ট হাউজটি ম্যানেজারের পারিবারিক কাজে ব্যবহার হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এব্যাপারে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোন প্রতিকার না পাওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

 

সরে জমিন গিয়ে দেখা যায়, দেশ বিদেশের গুরুত্বপূর্ণ যাত্রীদের দিন বা রাত যাপনের জন্য সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষ সৈয়দপুর বিমানবন্দর সংলগ্ন প্রায় ৪ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি দ্বিতল ভিআইপি ভবন নির্মাণ করেছে। যেখানে রয়েছে, ডাবল বেড এর ৪ টি রুম। খাবারের জন্য বিশাল মাপের ডাইনিং।

 

প্রতিটি শয়নকক্ষে একটি করে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্র (এসি)। ড্রয়িং ও ডাইনিং রুমেও রয়েছে এসি। খাবার তৈরির জন্য ইলেকট্রিক হিটার ও চুলা। কিন্তু এরপরও সেখান থেকে একটি পয়সাও ইনকাম হয়না সিভিল অ্যাভিয়েশনের। কারন এটি বিমানবন্দর ম্যানেজার নিজ দখলে রেখে পারিবারিক কাজে ব্যবহার করছেন।

 

চাকরি হারানোর ভয়ে নাম প্রকাশ করতে না চাওয়া অনেকেই বলেন, ভিআইপি কোন যাত্রী রেষ্ট হাউজটি ভাড়া চাইতে গেলে বলা হয় রেষ্ট হাউজটি খালি নাই। একারনে সেটি ভাড়াও হয়না মাসের পর মাস। ম্যানেজার ওই রেষ্ট হাউজে রাজ হাঁস ও কবুতরের খামার গড়ে তুলেছেন। আর এসব দেখাশোনা করছেন সরকারিভাবে নিয়োগপ্রাপ্ত ৩ জন কর্মচারী। অথচ তাদের বেতন দেয়া হয় সরকারের কোষাগার থেকে।

 

তাছাড়া রেষ্ট হাউজের এসি ও অন্যান্য ইলেকট্রিক সরঞ্জামের বিদ্যুৎ বিল বাবদ বছরে প্রায় ১ লাখ টাকা খরচ হয়। সংস্কার বাবদ প্রতি বছর ব্যয় ধরা হয়,দেড় থেকে ২ লাখ টাকা। সব মিলিয়ে প্রতিবছর প্রায় ১৫ লাখ টাকারও বেশি ব্যয় হচ্ছে সিভিল অ্যাভিয়েশন কর্তৃপক্ষের। কর্তৃপক্ষ সরেজমিন গিয়ে তদন্ত করলেই সব কিছুই দেখতে পাবেন।

 

এছাড়া এয়ারপোর্ট ম্যানেজারের বসবাসের যে বাসাটি বরাদ্দ রয়েছে, সেটিতে তিনি বসবাস না করে ১১ ও ১৪ গ্রেডের কর্মচারীদের নামে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যার কারনে সেখান থেকে এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ তেমন একটা ভাড়াও পান না।

 

এমনকি সরকারি টাকায় ক্রয় করা গাড়ি নিজের পরিবারের কাজে ব্যবহার করছেন ম্যানেজার। অথচ তেল খরচ করছেন সরকারের। এসব বিষয়ে উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার মেলেনি, বরং হেনস্তা হয়েছেন,অভিযোগকারিরা।

 

বিমানবন্দর ম্যানেজার সুপ্লব কুমার বলেন, রেষ্ট হাউজটি ভাড়া হয়না বলেই সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য রাজ হাঁস ও কবুতরের খামার করা হয়েছে। কিন্তু অন্যান্য অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

 

শাহজাহান আলী মনন

সৈয়দপুর (নীলফামারী) প্রতিনিধি

মোবাইল -০১৭৭৩০২০২১৬

তারিখ -৩১/০৩/২০২৪ ইং