২৬ মার্চ ২০২৪, ০৪:৪৩ এএম | অনলাইন সংস্করণ
স্মৃতি
Advertisement
আজ মঙ্গলবার ৫৪তম স্বাধীনতা দিবস। এই দিনে বীর সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করবে জাতি। এ উপলক্ষ্যে সাভারের নবীনগরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এদিকে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, রাজনৈতিক নেতারা এবং কূটনীতিকরা মঙ্গলবার ভোরে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন। এ উপলক্ষ্যে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে ঢাকা থেকে স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত সাড়ে ৪ ঘণ্টা যানবাহন নিয়ন্ত্রণের নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ।
এদিকে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফি যুগান্তরকে বলেন, স্মৃতিসৌধে পুলিশ, র্যাব, গোয়েন্দাসহ চার স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পুলিশ সদস্য মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়া ড্রোন উড়িয়েও নিরাপত্তা পর্যবেক্ষণ করা হবে।
Advertisement
ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসের প্রত্যুষে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পাঞ্জলী অর্পণ উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপ্রতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী পরিষদের সদস্যরা, রাজনৈতিক নেতারা, বিদেশী কূটনীতিক ও অন্যন্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ স্মৃতিসৌধে গমনাগমন করবেন। তাদের সুষ্ঠু যাতায়াত নিশ্চিত করতে মঙ্গলবার ভোররাত ৩টা থেকে সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত ঢাকা থেকে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত যানবাহন চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। এজন্য বাস, মিনিবাস, ট্রাক-লরিসহ বিভিন্ন পরিবহণের চালককে বিকল্প সড়কে চলাচলের অনুরোধ করা হয়েছে ডিএমপির পক্ষ থেকে।
এদিকে ঢাকা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহিল কাফি বলেন, জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুলিশ কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। সব মিলিয়ে প্রায় সাড়ে ৩ হাজার পুলিশ সদস্য মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও ভুটানের রাজা স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। এ উপলক্ষ্যে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
গণপূর্ত বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, জাতীয় স্মৃতিসৌধ পুরোপুরি প্রস্তুত। তিন বাহিনীর সশস্ত্র কুচকাওয়াজসহ পুষ্পস্তবক অর্পণের প্রস্তুতিও আগেই সম্পন্ন হয়েছে। সৌধ মিনারসহ পুরো চত্বরের হাঁটার পথ, বেদি, স্থাপনা সাজানো হয়েছে রঙ-তুলির আঁচড়ে। বাগানগুলোতে শোভা পাচ্ছে রং বেরঙের বাহারি ফুল।
দিবসটিতে অনুষ্ঠিত হবে মনোজ্ঞ কুচকাওয়াজ; পরিবেশন করবেন তিন বাহিনীর সদস্যরা। এক মাসেরও বেশি সময় ধরে সৌধ চত্বরে সৌন্দর্যবর্ধনের কাজ করেছে গণপূর্ত বিভাগ। হেরিংবন্ড, ইটের পথ, শহীদ বেদি ও গণকবরে ধোয়ামোছার পর সাদা রঙের শুভ্র আভায় সাজিয়ে তোলা হয়েছে পুরো সৌধ এলাকা।
বৃক্ষরাজি প্রাঙ্গণ আর সবুজ ঘাসের গালিচা কেটে-ছেঁটে নান্দনিক করে তোলা হয়েছে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্যবর্ধনের জন্য স্বাধীনতার মাসের শুরু থেকেই জাতীয় স্মৃতিসৌধে দর্শনার্থীদের প্রবেশাধিকার সংরক্ষিত করা হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, ১৯৭২ সালে সাভারের নবীনগরে ১০৮ একর সবুজে ঘেরা ভূমির ওপর স্বাধীনতার স্মারক জাতীয় স্মৃতিসৌধ নির্মাণের কার্যক্রম শুরু হয়।
বিকল্প সড়ক : ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, যেসব যানবাহন ঢাকা থেকে গাবতলী, আমিন বাজার ও সাভার হয়ে আরিচার দিকে যাবে, সেসব যানবাহন ঢাকা এয়ারপোর্ট রোড ব্যবহার করে আব্দুল্লাহপুর ক্রসিং দিয়ে আশুলিয়া সড়ক হয়ে চলাচল করবে। আরিচা হতে সাভার-আমিন বাজার হয়ে ঢাকাগামী যানবাহনগুলো নবীনগর বাজার থেকে আশুলিয়া হয়ে ঢাকায় প্রবেশ করবে। টাঙ্গাইল থেকে আশুলিয়া হয়ে ঢাকাগামী যানবাহনগুলো কালিয়াকৈর-গাজীপুর চৌরাস্তা-টঙ্গী হয়ে ঢাকায় প্রবেশ করবে। জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পাঞ্জলি অনুষ্ঠান চলাকালে যানবাহন চলাচলে শৃঙ্খলা রক্ষা ও যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে নগরবাসীর প্রতি সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করেছেন ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান।