today visitors: 5073432

জামালপুরে যমুনার চরে মরিচের বাম্পার ফলন ;সঠিক মূল্য চাচ্ছেন কৃষক 

 

 

জাবির আহম্মেদ জিহাদ

 

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার দুর্গম যমুনার  চরে পলি মাটিতে যেন সোনা ফলায়। মরিচ তেমনি এক সোনার ফসল। চলতি মৌসুমে অনুকূল আবহাওয়া এবং গত বন্যায় জমিতে প্রচুর পরিমাণ পলি মাটি পড়ায় এ জেলার উলিয়া যমুনার  চরাঞ্চলগুলোতে মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে। মরিচের দামও ভালো থাকায় কৃষকদের মুখে দেখা গেছে হাঁসির ঝিলিক।

 

জেলার পশ্চিম পাশ দিয়ে প্রায় ৩৫ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে বয়ে চলছে যমুনা। এই নদীর পাড়ের বিস্তীর্ণ চরাঞ্চলগুলো যেন সোনা ফলানোর এক কারখানা।

 

চোখ মেলে তাকালেই বিস্তীর্ণ চরাঞ্চল জুড়ে চোখে পড়ে মরিচ, ভুট্টা ও গমসহ নানা ফসলের সমারোহ। চরাঞ্চলের মাটি যে এতো খাঁটি সোনা তা নিজ চোখে না দেখলে উপলব্ধি করা সম্ভব নয়। এ বছর অনূকূল আবহাওয়া ও পলি মাটি মরিচ চাষের উপযোগী হওয়ায় মরিচের বাম্পার ফলন হয়েছে।

 

জামালপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, চলতি রবি মৌসুমে জেলার সাত উপজেলায় ৩৬০০ হেক্টর জমিতে মরিচ চাষ হয়েছে।

 

জানা যায়, বর্তমানে প্রতি মণ মরিচ ৯ থেকে ১০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

 

এ সময় কথা হয় যমুনার দুর্গম চরের নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের বৌশের গড় গ্রামের কৃষক আতিউর রহমানের সাথে। তিনি বলেন, ‘আপনাদের দোয়ার মরিচ ভালোই হয়ছে।অনেক কষ্টের আবাদ নায্য মূল্য যেন পাই।

 

আতিউর রহমানের ছেলে রফিকুল ইসলাম বলেন,  এক বিঘা জমিতে ১৫ থেকে ২০মণ মরিচ হয়। প্রতি মণ ১০ হাজার টাকা করে হলেও দেড় ২ লাখ টাকা হয়। মরিচ উঠার পর ওই জমিতে পাট বোনা হবে।