মোঃ মিঠু আহম্মেদ নারায়ণগঞ্জ :-
সাংবাদিকতা হচ্ছে একটি মহৎ পেসা,আর এই পেসা পূজি করে হরহামেশেই কিছু কিছু লোক সাংবাদিক ও সম্পাদক পরিচয় দিয়ে চাঁদাবাজি ও বহু অপকর্ম করে যাচ্ছে পুলিশের নাকের ডগায়।তাদের মধ্যে উল্লেখ যোগ্য প্রতারক হলেন শাহ আলম, তিনি নারায়ণগঞ্জ শহরের উকিল পাড়া জগদীশ মিষ্টান্ন ভান্ডারের সামনে চকি বিছিয়ে ফুতপাদে চুলকানির মলম বিক্রি করতেন, বলে নিশ্চিত করেন নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব রা হকারি ও মলম বিক্রিই ছিল শাহ আলমের পেসা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় শরিয়তপুর জেলা থেকে প্রকাশিত দৈনিক রুদ্র বার্তার প্রকাশক ও সম্পাদক হচ্ছে শহিদুল ইসলাম পাইলট। শরিয়তপুর জেলা প্রতিমা আট প্রেস থেকে মুদ্রিত লেখা থাকলেও তার ছিটেফোঁটাও নেই নারায়ণগঞ্জে আসা দৈনিক রুদ্র বার্তা পত্রিকায়। শরিয়তপুরের এই পত্রিকা নারায়ণগঞ্জে অবৈধভাবে প্রকাশিত করে হরহামেশেই অটো বানিজ্য ও কার্ড দিয়ে চাঁদাবাজি করার খবর পাওয়া গেছে।
দৈনিক রুদ্র বার্তার সম্পাদক আসলে কে, শরীয়তপুর জেলা প্রশাসক জনাব কাজী আবু তাহেরের নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের এখানে লিষ্টে সম্পাদক ও প্রকাশক হিসেবে জনাব শহিদুল ইসলাম পাইলট নামে অন্তর্ভুক্ত আছে দৈনিক রুদ্র বার্তা পত্রিকার। এখন শাহ আলম নামে কোন লোক কি ভাবে এই পত্রিকা সম্পাদনা করেন তা আমার জানা নেই। নিয়ম হচ্ছে যে পত্রিকা আঞ্চলিক ভাবে ডিকলারেশন নিবে তাকে ঐ খান থেকেই পত্রিকা বের করতে হবে।
ডিসি কাজী আবু তাহের আরো বলেন যেহেতু আমরা জানতে পেরেছি এই পত্রিকাটি অন্য কেউ সম্পাদনা করেন সে কিসের ভিত্তিতে করেন তা আমরা ব্যাবস্থা নিবো। এখন কথা হচ্ছে একজন ব্যাক্তি কয়টি পত্রিকা সম্পাদনা করতে পারেন তা আমরা জানি। মুলত বর্তমানে সাংবাদিকতা করতে কোন অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয় না। কারন পুলিশের সাথে আর রাজনীতিবিদের সাথে তেল মেরে চল্যেই সাত খুন মাফ। কে মলম বিক্রেতা আর কে মাদক ব্যবসায়ী,কে ভূমি দস্যু,কে চাঁদাবাজ প্রসাশন তা আমলেই নেন না।
দেশে যদি সত্যিকার অর্থে আইনের শাসন থাকতো তাহলে নামে বেনামে কি ভাবে তাড়া পত্রিকা পরিচালনা করেন? কি তাদের শিক্ষাগত যোগ্যতা, ১৯৭২ সনের ছাপা খানা আইন কি তাড়া মেনে চলেন? নারায়ণগঞ্জ শহরে এমন অনেক পত্রিকার সম্পাদক আছে যাদের কোন শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই। অর্থচ তাড়া সরকার, সমাজের, প্রসাশনের বিরুদ্ধে হরহামেশেই নিউজ করছে।যা দেখে প্রসাশন ও নিরব ভূমিকা পালন করেন।
আন্ডার গ্রাউন্ড পত্রিকা দিয়ে শহরে চাঁদাবাজি বেড়ে গেছে। ডিসি ও এসপির উচিত যে সকল পত্রিকা তাদের দফতরে যায় সে সমস্ত পত্রিকার সম্পাদক ও প্রকাশক কে চিঠি দিয়ে জানার জন্য যে তারা কি ভাবে পত্রিকা সম্পাদনা করেন এবং তাদের বৈধ কোন কাগজপত্র আছে কি না।