today visitors: 5073432

১৬ বছর হলো, মাত্র যৌব*নে পা রাখলাম। যেখানে বিয়ের হওয়ার কথা আমার।

–সেখানে ৩৭ বছরে আমার বাবা আজকে নতুন একটি মহিলাকে বিয়ে করে নিয়ে আসলো।

–বাবা এই বয়সে তুমি আবার বিয়ে করলে। সবে মাত্র মা মার গিয়েছে। (তিসা)

–তোর মা মারা গিয়েছে বলে কি আমি বিয়ে করতে পারবো না।

তিসা : অবশ্যই পারবে কিন্তু মায়ের মৃ*ত্যুর এখন পযর্ন্ত ১০ দিনেই হলোনা।

–বেশি কথা বলবিনা। তোর নতুন মা*কে রুমে নিয়ে যা? আমি বা*জার থেকে আসতেছি।

“তো তিসা বাদ্ধ হয়ে নতুন মাকে বলে উঠে”

তিসা : আপনি আমার সঙ্গে আসুন!

–এইই তিসা এটা কেমন ব‍্যবহার শুনি, নতুন মায়ের সঙ্গে কেউ আপনি করে কথা বলে?

তিসা : আসলে বাবা আমার অভ‍্যাস নেই তো তাই? পরবর্তীতে আর সমস্যা হবেনা।

–কথাটা মাথায় থাকে যেনো।

তিসা : ঠিক আছে।

“এর পরে তিসা নতুন মাকে নিয়ে রুমে আসে, তো রুমে আসা মাত্রই তিসার নতুন মা বলে উঠে ”

–শোন আমার কথা মতো চলবি। না হলে তোর কপালে বিপ*দ আছে কিন্তু।

“নতুন মায়ের মুখে এই কথাটি শুনেই তিসা আশ্চ*র্য হয়”

তিসা : আশ্চর্য আপনি আমার সঙ্গে এইভাবে কথা বলতেছেন কেনো জানতে পারি।

–তো তোর সঙ্গে কেমন করে কথা বলবো শুনি।

তিসা : ভ*দ্র ভাবে কথা বলুন।

–চুপ কর! নাহলে এক থাপ্প*ড়ে দাত ফেলাই দিবো বে*য়াদব মেয়ে কোথাকার।

তিসা : আমি কখন আপনার সঙ্গে বেয়া*দবি করলাম? আপনি তো আমার সঙ্গে বেয়া*দবি করলেন।

“তিসার মুখে কথাটি শে*ষ হতে না হতেই নতুন মা তার গালে কষে একটি থা*প্পড় দেয়”

–ঠাসসসস! ঠাসসস এইইই তোর সাহস কিভাবে হয় আমার মুখে মুখে ত*র্ক করার।

“থাপ্প*র টি খাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তিসা উপলব্দি করে তার ঠোট থেকে র*ক্ত পরতেছে।

তিসা : আপনি আমার বাবার বিয়ে করা স্ত্রী না হলে এতক্ষনে পাল্টা জবাব দিতাম।

–তোর বাবা আগে আসুক বা*জার থেকে।

তিসা : বাবা এসে কি করবে শুনি। আমার বাবা ভালো করেই জানে আমি কেমন।

–এই আমার চোখের সামনে থেকে চলে যা। তোর ওই মুখ আমার সামনে আনবিনা।

তিসা : এটা আমার বাড়ি আমি থাকবো। আপনার সমস্যা হলে আপনি নিজেই চলে যেতে পারেন।

“এই ভেবে ঝগ*রা করতে করতে তিসার বাবা এক সময় বা*জার থেকে বাসায় চলে আসে। এসেই দেখে বেশ ঝগ*রা লেগেছে ”

–এইইই তোমাদের কি হলো শুনি। ঝ*গরা করছো কেনো।

তিসা : বাবা কাকে বিয়ে করে আনছো তুমি। যার ব‍্যবহার এতোটাই খা*রাপ যা বলার মতো না।

–এইই আমি তোমার সংসা*র করবোনা। আমাকে যেখানে থেকে নিয়ে আসছো আবার সেখানে রেখে আসো।

–আরে বাবা কি হয়েছে কেউ বলবা নাকি আমাকে।

–তুমি বাজারে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তোমার মেয়ে আমাকে এই বাড়ি থেকে বে*র করে দিচ্ছিল। বলতেছে তোর জায়গা এখানে হবেনা। যেখানে থেকে এসেছিস সেখানে চলে যা। আমি তোকে কোনভাবেই মেনে নিতে পারবো না।

তিসা : বাহ বাহ কি সুন্দর মি*থ্যা বলে এই মহিলা। ভাবছিলাম শুধুমাত্র ঝগ*রাই করতে পারে কিন্তু এখন দেখি এর চেয়েও বেশি।

–এইইই তিসা চুপ করো। উনি বতর্মান তোমার মা হয়। ওনার সঙ্গে ভালো ভাবে কথা বলবা।

তিসা : বাবা তুমি ওই মহিলার কথাই বিশ্বাস করলে।

–এই মহিলা কি হ‍্যা। তোমার মা হয় মা!

–দেখছো তোমার মেয়ের ব‍্যব*হার। আল্লা*হ্ জানে আমার কপা*লে কি লেখা আছে।

“তো এই ভাবে বেশ কিছুদিন যাওয়ার পরে হঠা*ৎ একদিন তিসার নতুন মা রাতে তিসার রুমে আসে।

–তিসা কি করছো তুমি।

“এমন ব‍্যবহার দেখে তিস বেশ আ*শ্চর্য হয়।

তিসা : পরতেছি।

–আমি একটা জিনিস ভাবলাম, এই ভাবে ঝগ*রা করলে কখনো সুখ আসবেনা জীবনে। তাই মিলে মিশে থাকবো এখন থেকে আমরা।

তিসা : তাহলে তো অনেক ভালোই হয়।

–হুমম আজ থেকে তুমি আমার মেয়ে। আর আমি তোমার মা।

তিসা : ঠিক আছে।

“এই ভাবে খারা*প মহিলাটি তিসাকে এতো সহজে আপন করে নিবে তিসা সেটা ভাবতেই পারেনি। তো মিলে মিশে ভালোই দিন যাচ্ছিলো।

“একদিন রাতে তিসা নিজের রুমে পরতেছিলো এমন সময় তিসার নতুন মা এক গ্লাস দু*ধ নিয়ে ওর রুমে প্রবেশ করে।

তিসা : মা তুমি ঘুমাওনি।

–নারে মা ঘুমাইনি, অনেক রাত হয়েছে দু*ধ টুকু খেয়েনি। তাহলে ভালো লাগবে।

তিসা : রেখা যাও পরা শে*ষে খাবো।

–এই মুহুর্তে খাইতে হবে।

তিসা : পরে খাই মা প্লিজজজজজ?

–আবার মুখের উপর কথা বলে। খাইতে বলছি এখনি খাবি।

“মায়ের এমন কথা শুনে সঙ্গে সঙ্গে তিসা দু*ধটুকে খেয়েনেয়।

–এই তো ল*ক্ষি মেয়ে আমার এখন সারা রাত পর কোন সমস্যা নেই।

তিসা : হুমমম ঠিক আছে তুমি এখন ঘুমাইতে যাও।

–ঠিক আছে।

“এই বলে সেখান থেকে তিসার নতুন মা নিজের রুমে চলে আসে। আর তিসা আপন মনে পরতে থাকে।
বেশ কিছুক্ষন পরার পরে তিসা অনুভব করে তার বুকে জা*লা পো*রা শুরু হয়েছে,,,,

“তার একটু পরে তিসা বুঝে যায় তাকে,,,,,,,

“পরবর্তী পর্বের জন্যে অপেক্ষায় থাকুন সবাই

নতুন গল্প : প্রেমের_ঠিকানা
পর্ব——–(১)
গল্প লেখক
পরবর্তী পর্বের জন্য সবাই অপেক্ষা করোন,পরবর্তী পর্ব পড়তে সাথে থাকুন, গল্পটি কেমন হয়েছে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন, ধন্যবাদ।