প্রক্টর ও প্রাধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি জাবি ছাত্র ইউনিয়নের

 

 

মোঃ শান্ত খান ঢাকা জেলা প্রতিনিধি

 

 

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রক্টর ও হল প্রাধ্যক্ষকে দায় নিতে হবে। অন্যথায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষার্থীদের নিয়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ।

 

১৬ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সদস্য তানজিন আহমেদ সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়৷

 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় স্বামীকে হলে আটকে রেখে স্ত্রীকে পার্শ্ববর্তী জঙ্গলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় হল প্রশাসন ও প্রক্টরের দায়িত্ব অবহেলার কারণে হল থেকে ধর্ষকের পলায়ন, হলে বহিরাগতদের মাদক নিয়ে নিয়মিত প্রবেশ, শিক্ষার্থীদের মাঝে তা সরবরাহ ও বিক্রির দায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ কোন ভাবেই এড়াতে পারেন না।

 

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফার ভিত্তিতে চলমান আন্দোলনের একটি দফা হলো ধর্ষণের ঘটনায় প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল- হাসান ও মীর মশাররফ হোসেন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক সাব্বির আলমের অপরাধ তদন্ত এবং সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তদন্ত চলাকালে তাদেরকে প্রশাসনিক পদ থেকে অব্যাহতি দিতে হবে। কিন্তু ঘটনার ১৩ দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও নীরব দর্শকের ভূমিকায় আছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয় র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের তদন্তে আরো ভয়ংকর তথ্য উঠে এসেছে। র‍্যাবের মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ধর্ষণসহ নির্যাতনের ঘটনা আগেও ঘটেছে। বিশ্ববিদ্যালয়েকে এর দায় নিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যর্থতার কথা উঠে এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন থেকেও। তবুও এ বিষয়ে প্রশাসনের নির্লিপ্ততা ও নির্বিকার আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ।

 

বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের আহ্বায়ক আলিফ মাহমুদ ও যুগ্ম আহ্বায়ক হাসিব জামান যৌথ বিবৃতিতে বলেন, প্রক্টর ও সংশ্লিষ্ট হলের প্রভোস্ট ধর্ষণের ঘটনার দায় এড়াতে পারে না। সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে প্রক্টর ও প্রাধ্যক্ষকে দায়িত্ব থেকে সাময়িক অব্যাহতি দিতে হবে। সেই সাথে ধর্ষণের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর যে কালিমা লেপন হয়েছে, জড়িতদের শাস্তির আওতায় এনে বিশ্ববিদ্যালয়কে কলঙ্কমুক্ত করতে হবে। অন্যথায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের সচেতন শিক্ষার্থীদের সাথে নিয়ে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তোলা হবে এর থেকে উদ্ভূত যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে নিতে হবে।