মোঃ শফিকুল ইসলাম
পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধি
৮ ফেব্রুয়ারি পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা সড়কের বাদুরা মোড়ে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে মোটর সইকেল ও খড় বোঝাই টমটম (শ্যালো ইঞ্জিন চালিত টেম্পু) কে সাইড দিতে গিয়ে যাত্রীবাহী বাস খাদে পড়ে যায়। এ দুর্ঘটনায় ঘটনা স্থলেই রাহাত ২২ ও বেল্লাল ২৪ নামের দুই যাত্রীর মৃত্যু হয়। এতে কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান। নিহত দুজনের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পটুয়াখালী সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া নিহতদের পরিবারকে গলাচিপা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ নগদ ২০ হাজার টাকা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন গলাচিপা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মহিউদ্দিন আল হেলাল।
দুর্ঘনাকবলিত বাসটি সন্ধ্যায় পটুয়াখালী ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের টিম কাজ উদ্ধার করেছে। কিন্তু দুর্ঘটনা কবলিত ইমরান এক্সক্লুসিভ গাড়িচির চালক ও হেল্পার পলাতক রয়েছে।
দুর্ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মোটর সাইকেল ড্রাইভার আমতলীর বাসিন্দা মো. ইবরাহিম বলেন, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে আমি দুর্ঘটনা কবলিত ইমরান এক্সক্লুসিভ গাড়িটির পিছনে পিছনে মোটর সাইকেল চালিয়ে আমতলি যাচ্ছিলাম। হঠাৎ বাসটির সামনে একটি মোটর সাইকেল এসে পরে। আবার উল্টো দিক থেকে গ্রীন লাইনের একটি বাস আসে। দুটো গাড়িকে সাইড দিতে গিয়ে এ বাসটি উল্টে খাদে পড়ে যায়। নিহতরা হলেন, াচিপা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের ইছাদী গ্রামের মো. মনির কাজীর ছেলে মো. বেল্লাল কাজী ও একই গ্রামের রুহুল আমিন হাওলাদারের ছেলে রাহাত হাওলাদার।
এ বিষয়ে ফায়ার ডিফেন্সের সহকারী পরিচালক পটুয়াখালী বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল এসে উদ্ধার কাজ চালাচ্ছি। দিনের আলোতেই আমরা দুজন মৃত যাত্রীকে উদ্ধার করতে পেরেছি। এখন আর কোন যাত্রীর নিখোঁজ থাকার সম্ভাবনা নাই। তবুও আমরা কিছু সময় ঘটনাস্থল অপেক্ষা করবো।
এ বিষয়ে গলাচিপা উপজেলা মহিউদ্দিন আল হেলাল বলেন, খবর পেয়ে আমরা দুর্ঘটনাস্থলে আসি। দিনের আলোতেই আমরা দ্রæত উদ্ধার কাজ শেষ করতে পেরেছি। উদ্ধার হওয়া মৃত দুজন গলাচিপা উপজেলার গজালিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। তাদের প্রত্যেকের পরিবারকে নগদ ২০ হাজার টাকার অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে।