জামাল উদ্দীন- কক্সবাজার প্রতিনিধি
চার ঘণ্টার ব্যবধানে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিজিপি) আরও এক সদস্য সহ মোট ৬৪ জন বিজিপি সদস্য টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে।
। পরে তাদের সবাই ক বাংলাদেশ বর্ডারগার্ড বিজিবির হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
৭ ফেব্রুয়ারি বুধবার দুপুরে দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যং সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে সে দেশের দু’জন কমান্ডারসহ ৬৩ জন বাংলাদেশে প্রবেশ করে, তাদেরও হেফাজতে নেয় বিজিবি।
জানা গেছে, মিয়ানমার বিজিপির সদস্যদের বিজিবি টেকনাফ ব্যাটালিয়ন-২ হোয়াইক্যং বিওপি ক্যাম্পে রাখা হয়। তাদের দুপুরে খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। পরে ৬৪ জন বিজিপির সদস্যকে হোয়াইক্যং বিওপি থেকে গাড়িযোগে টেকনাফের হ্নীলা উচ্চবিদ্যালয় সংলগ্ন সাইক্লোনশেল্টার ( কাম) আশ্রয় কেন্দ্রে রাখা হয়েছে বলে বাংলাদেশ বিজিবি -২ ব্যাটলিয়ন সূত্রে জানাগেছে।
অপরদিকে সীমান্তের ওপারে থেমে থেমে এখনো মর্টারশেল ও গোলাগুলির শব্দে এপারের মানুষদের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে আতঙ্ক। স্থানীয় বাসিন্দা রশিদ আহমেদ বলেন, ঘুমধুমে মর্টারশেল পড়ে দু’জন নিহত হলো। গুলিতে আহত হলো একাধিক লোক। সেখান থেকে সরে গেছে শত শত লোকজন। এমন পরিস্থিতির মধ্যে আমরাও নিজেরা অনিরাপদের মধ্যে রয়েছি।
গত সপ্তাহধরে ঘুনধুম সীমান্ত, উখিয়ার থাইয়ংখালী সীমান্ত, পালংখালীসীমান্ত,ও আজ হোয়াইক্যং সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে প্রায় ৩ শতাধিক মিয়ামার বর্ডারগার্ড ( বিজিপি) সদস্য বাংলাদেশে পালিয়ে এসেছে।তারা সকলে বাংলাদেশ বর্ডারগার্ড ( বিজিবি) ২ বাটলিয়নও রামু ৩৪ বিজিবি ব্যাটলিয়নের তত্বাবধানে রয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের হোয়াইক্যং সীমান্তের ওপারে গত ১০ দিন ধরে চলছে গোলাগুলি। হেলিকপ্টার থেকে ছোড়া হচ্ছে গোলা। আমরা ভয়ে ও আতঙ্কে চিংড়িঘের, চাষাবাদে যেতে পারছি না। ছেলে-মেয়েদের স্কুলে পাঠাতেও ভয় পাচ্ছি। এখনও চলছে থেমে থেমে গুলি ও মর্টারশেলের ফায়ার।
টেকনাফের হোয়াইক্যং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ আনোয়ারি বলেন, সীমান্তে চলমান সংঘাতের কারণে এপারের সীমান্তবর্তী মানুষদের মাঝে সবসময় ভয় ও আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ বিষয়টি নিয়মিত খোঁজ-খবর রাখছি। কাউকে ভয় না পেয়ে নিরাপদে থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।####