দুপক্ষকে একসঙ্গে ইজতেমা আয়োজনের আহ্বান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর

ষ্টাফ রিপোর্টার :

তাবলিগ জামায়াতের বিবদমান দুই পক্ষের শীর্ষ মুরব্বিদের সম্মিলিতভাবে একসঙ্গে ইজতেমা আয়োজনের অনুরোধ জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

সোমবার বিকেলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে বিশ্ব ইজতেমার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিয়ে টঙ্গীর বাটা গেট এলাকায় ফলোআপ সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।

এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমা সারা পৃথিবীতে খুবই জনপ্রিয় ছিল। পৃথীবির বিভিন্ন দেশ থেকে তাবলীগ জামায়াতের মুসল্লিরা এখানে উপস্থিত হন। কিন্তু দুঃখের বিষয়, আমরা অনেক চেষ্টা করেছি, বিভিন্ন জায়গায় আপনাদের পাঠিয়েছি, অনেক পানি গড়িয়েছে, কিন্তু আপনাদের মনোভাবটা পরিবর্তন হয়নি। সেজন্য আমরা কষ্ট পাই। আমরা মনে করি, যদি আবার মিলেমশে এক প্লেটে মাওলানা ওয়াসিফুর রহমান এবং মাওলানা জোবায়ের সাহেব খেতে পারতেন, তাহলে খুব খুশি হতাম।’

তিনি বলেন, ‘ধর্মমন্ত্রীকে অনুরোধ করব, তিনি যদি নেতৃত্ব নিয়ে এই দুই পক্ষকে একসঙ্গে মিলিয়ে দিতে পারেন। একসঙ্গে এক প্লেটে খাওয়াতে পারতেন, তাহলে আমরা শুভেচ্ছা ও কৃতজ্ঞতা জানাব।’

দুপক্ষকে একসঙ্গে ইজতেমা আয়োজনের আহ্বান
মাওলানা জোবায়েরপন্থী আহলে শুরার মুরব্বিদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনাদের দাবি অনুযায়ী প্রতিবার আপনাদের প্রথম পর্বে ইজতেমা করতে দেয়া হয়। সেই দাবি অনুযায়ী সম্মানের সহিত মাঠ বুঝিয়ে দেবেন। কোনো ধরনের ভাঙচুরের অভিযোগ যেন না ওঠে। গতবারও শুনেছি অনেক কিছু ভাঙচুর হয়েছে, কিছু জিনিস খোয়া গিয়েছে। এবার যেন তেমন কিছু না হয়।’

পরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘গতবারের ন্যায় এবারও ইজতেমা ঘিরে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। বিশ্ব ইজতেমায় আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তায় ড্রোন, সিসিটিভি ক্যামেরা, ইউনিফর্ম এবং সাদা পোশাকে নিরাপত্তা বাহিনীর নজরদারি থাকবে। ইজতেমায় কোনো ধরনের দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্সসহ অন্যান্য সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।’

সভায় অনুমতি ছাড়া উত্তরার দিয়াবাড়ীতে ইজতেমার খিত্তা স্থাপন না করার কড়া নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ প্রধান চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

এর আগে, গাজীপুরের জেলা প্রশাসক আবুল ফাতে মোহাম্মদ সফিকুল ইসলাম ইজতেমা নিয়ে প্রশাসনের গৃহীত ব্যবস্থা বাস্তবায়ন নিয়ে সার্বিক চিত্র উপস্থাপন করেন।

সভায় আরও বক্তব্য রাখেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, পুলিশের আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার সাবিরুল ইসলাম, র‍্যাব প্রধান খুরশিদ আলম, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান, জিএমিপি কমিশনার মাহবুব আলমসহ দুই পর্বের শীর্ষ মুরুব্বিরা।

প্রসঙ্গত, টঙ্গীর তুরাগ নদীর পাড়ে প্রথম দফায় ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি এবং দ্বিতীয় দফায় ৯ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে।