দেশে চাহিদার তুলনায় যথেষ্ট পরিমাণে নিত্যপণ্য মজুত আছে। এছাড়া, গত বছরের তুলনায় এবার বিভিন্ন নিত্যপণ্যের ১০ থেকে ১৫ শতাংশ এলসি বেশি হয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ে মধ্যে এসব নিত্যপণ্য দেশে পৌঁছাবে। এ অবস্থায় আসন্ন রমজানে নিত্যপণ্য নিয়ে কেউ কারসাজি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে লাইসেন্স বাতিলসহ ব্যবসা-বাণিজ্যের ছাড়পত্র বন্ধ করা হবে।
গতকাল রবিবার সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, কৃষিমন্ত্রী আব্দুস শহীদ, মত্স্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী মো. আব্দুর রহমান বলেন, বাজারে কোনো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের ঘাটতি নেই। কিন্তু কিছু মধ্যস্বত্ব্বভোগী আছে, যারা কারসাজি করে। তাদের কৃত্রিম সংকটের কারণে আমরা বিপদে পড়ি। এদের চিহ্নিত করে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লাইসেন্স বাতিল করা হবে, তাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের ছাড়পত্র বন্ধ করা হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার বলেন, রমজানে আমরা যেসব পণ্য আমদানি করি, গত বছরের জুলাই থেকে জানুয়ারি পর্যন্ত আটটি পণ্যের যত এলসি হয়েছিল, এবার তার থেকে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ বেশি এলসি হয়েছে। এলসি ওপেন করতে কোনো সমস্যা নেই। পণ্যগুলো সময় মতো দেশে এসে পৌঁছাবে বলে আশা করছি। কোনো মধ্যস্বত্ব্বভোগী সমস্যা না করলে দাম বাড়ার কোনো কারণ নেই।
বৈঠকের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, রমজান আসছে। আমরা সর্বশেষ পরিস্থিতি দেখলাম, কোনো ঘাটতি নেই। রমজানের সময় যেসব নিত্যপণ্য লাগে। সেসব পণ্যের কোনো সংকট নেই। তিনি বলেন, যেভাবে প্রাইস লেভেলকে ধরে রাখা যায় সে কাজগুলো সরকার করছে। আমরা মনে করি চিন্তার কোনো কারণ নেই। দরকার হলে আমরা অনেক কঠোর পদক্ষেপের দিকে চলে যাব। দরকার হলে শাস্তিমূলক পদক্ষেপের দিকে যাব, কাউকে ছাড় দেব না।