মো: আলমগীর হোসেন বিশেষ প্রতিনিধি তারাকান্দা ময়মনসিংহ।
এবারের নির্বাচনে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নৌকার প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম হীরু’র পক্ষে কাজ করলেও সাধারণ সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান কামরুল এর পক্ষে কাজ করছেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নরসিংদী-১ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থীর মতবিনিময় সভায় ‘নৌকা ওয়ালারা পালানোর জন্য জায়গা পাবে না’ বলা মাধবদী থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সিরাজুল ইসলামকে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি অব্যাহতি দেয়ার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই স্বপদে বহাল করেছেন সাধারণ সম্পাদক। মঙ্গলবার জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জি এম তালেব হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা কাজী মোহাম্মদ আলী স্বাক্ষরিত পৃথক চিঠির মাধ্যমে সিরাজুল ইসলামকে অব্যাহতি ও বহাল করা হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম তালেব হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিতে জানানো হয়, আসন্ন সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী মো. নজরুল ইসলাম হিরু’র বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী কামরুজ্জামানের সভায় সিরাজুল ইসলাম হুমকী প্রদান করেন যে, ’নৌকাওয়ালারা পালানোর জন্য জায়গা পাবে না’ যা মিডিয়ায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক প্রচারিত হয়। যা দলের ভাবমূর্তি বিনষ্ট, দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ, দলীয় নেতাকর্মী ও জনসাধারণের মাঝে বিরুপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। এমন অবস্থায় তাকে সাংগঠনিক বিরোধী কার্যক্রমের কারণে মাধবদী থানা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক ও জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়। আর স্থায়ী বহিস্কার কেন করা হবে না আগামী ৭ দিনের মধ্যে জবাব দেয়ার জন্য বলা হয়।
এর কয়েক ঘন্টা পরই সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা কাজী মোহাম্মদ আলী স্বাক্ষরিত আরেক চিঠিতে জানানো হয়, আসন্ন সংসদ নির্বাচনে সুষ্ঠ, নিরপেক্ষ ও প্রতিযোগীতা মূলক করার লক্ষ্যে দলীয় প্রার্থীর পাশাপাশি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা ও সমর্থনের বিষয়ে দলীয় ভাবে কোন বিধি নিষেধ নেই। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিরুদ্ধে আওয়ামীলীগ কোন সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়নি বিধায় সকল নেতাকর্মীরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও সমর্থন তাদের নিজস্ব অধিকার। এবিষয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা নেয়া যাবে না বিধায় সিরাজুল ইসলামকে অব্যাহতি প্রদানের সিদ্ধান্ত সভাপতির একক ও ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত যা গ্রহণযোগ্য বা কার্যকর নয়। আপনি স্ব-পদে বহাল আছেন।
এব্যাপারে জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জি এম তালেব হোসেন বলেন, সাধারণ সম্পাদক স্বতন্ত্র প্রার্থীর হয়ে কাজ করছেন। তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষ হয়ে কথা বলছেন। সিরাজুল ইসলামের বক্তব্য নৌকার হুমকি, নেত্রীর হুমকি ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের জন্য হুমকি এজন্য তাকে অব্যাহতি প্রদান করা হয়েছে।
জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পীরজাদা কাজী মোহাম্মদ আলী বলেন, একক ভাবে কোন মিটিং না ডেকে কাউকে অব্যাহতি দেয়া সভাপতির অধিকারে নেই। তিনি আমার সাথে কোন পরামর্শ করেনি আর কোন মিটিং ও ডাকেনি। তিনি একক ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে অব্যাহতি দিয়ে পারেন না। নেত্রী এবার নির্বাচন সফল করার লক্ষ্যে আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের প্রার্থী হওয়ার ও তাদের সাথে নেতাকর্মীদের কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। নেত্রীর সিদ্ধান্ত ছাড়া আমরা কাউকে অব্যাহতি দিতে পারিনা।
Leave a Reply