বিশ্বের ৪৬টি দেশের মধ্যে ২০২৪ সালে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনীতির দেশের তালিকায় উঠে এসেছে বাংলাদেশের নাম। বিশ্বের প্রভাবশালী গবেষণা সংস্থা মাস্টার কার্ড ইকনোমিক্স ইন্সটিটিউটের (এমইআই) বার্ষিক অর্থনৈতিক আউটলুকে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
বুধবার প্রকাশিত এমইআইয়ের আউটলুকে বলা হয়েছে, ২০২৪ সালে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ হারে। বাংলাদেশের থেকে বেশি প্রবৃদ্ধি হবে শুধু ভারতের। দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ৩ শতাংশ।
আর প্রবৃদ্ধির তিন নম্বরে থাকবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ভিয়েতনাম। দেশটির প্রবৃদ্ধি হবে ৬ দশমিক ২ শতাংশ হারে। চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে থাকবে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আরো দুই দেশ ফিলিপাইন ও ইন্দোনেশিয়া।
২০১৪ সালের জন্য এমইআইয়ের গবেষণার নাম দেয়া হয়েছে, ইকনোমিক আউটলুক: ব্যালেন্সিং অ্যান্ড প্রায়রোটিজ (অর্থনৈতিক আউটলুক: ভারসাম্য মূল্য ও অগ্রাধিকার)।
গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে চমকে গেছেন অনেকেই। বাংলাদেশকে চিহ্নিত করা হচ্ছে এশিয়ান টাইগার হিসেবে।
গত এক দশকের বেশি সময় ধরে উচ্চ প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। এমনকি করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যেও বিশ্বে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ছিলো চোখে পড়ার মতো।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবে, ২০২২ সাল শেষে বিশ্বের ৫০টি বৃহত্তম অর্থনীতির তালিকায় বাংলাদেশ রয়েছে ৩৫তম অবস্থানে। তার আগের বছর ছিলো ৪১তম অবস্থানে।
যে গতিতে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে তাতে ২০৩০ সালের মধ্যে বিশ্বের ২৪তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হিসেবে বাংলাদেশ আবির্ভূত হবে বলে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা পূর্বাভাস দিচ্ছে।
এমইআইয়ের বার্ষিক অর্থনৈতিক আউটলুকে বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬ দশমিক ৩ শতাংশ হওয়ার কথা বলা হলেও সরকারের লক্ষ্য রয়েছে ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। আর সরকারের লক্ষ্য পূরণ হলে বাংলাদেশ হয়ে উঠবে বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত বর্ধনশীল দেশ।
এমইআইয়ের আউটলুকে বলা হয়েছে, আগামী বছর বাংলাদেশের ভোক্তা মূল্যস্ফীতি দাঁড়াবে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ, যা ৪৮টি দেশের মধ্যে চতুর্থ সর্বোচ্চ এবং দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে সর্বোচ্চ।আর সর্বোচ্চ মূল্যস্ফীতি হবে আর্জেন্টিনায় (১৫৬ দশমিক ৯ শতাংশ), দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তুরস্কে (৫৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ), তৃতীয় সর্বোচ্চ মিশরে (২৪ দশমিক ৯ শতাংশ) এবং পঞ্চম সর্বোচ্চ শ্রীলংকার (৬ দশমিক ৯ শতাংশ)।বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোরে (বিবিএস) হিসেবে , অক্টোবর মাসে দেশে সাধারণ মূল্যস্ফীতির হার ছিল ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ। খাদ্যপণ্যের দাম কমায় নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি কমে পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে হয় ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ।তবে চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য রয়েছে সরকারের।
Leave a Reply