নরসিংদী জেলা থেকে-রাজ উদ্দিন
নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমনের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছেন নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগ।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) সকালে জেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে নরসিংদী সরকারি কলেজ মাঠে জড়ো হতে থাকে। পরে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহজালাল আহমেদ শাওনের নেতৃত্বে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে সদর উপজেলা মোড়ে (ডিসি রোড়) এসে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে ছাত্রনেতারা বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতে গড়া বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগ মুজিব আদর্শের সৈনিক। ছাত্রলীগ কখনও বেঈমান ও দলছুটেদের সাথে আপোষ করে না। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ছাত্রলীগের অভিভাবক জননেত্রী শেখ হাসিনার একজন আদর্শ সৈনিক হিসেবেই ছাত্রলীগ নেতা রিমন এমন বক্তব্য দিয়েছিলেন। ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে থানায় মামলা হতে না হতেই অল্পসময়ের মধ্যে ঢাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রশাসনের কাছে প্রশ্ন? কার ইশারায় এধরনের ঘৃণিত কাজ করেছেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কারও ইশারার কাছে মাথানত করে না। হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। প্রাণের সংগঠন, প্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের নেতাকে অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা-সংগ্রামে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ। ওই সংগঠনের নেতাই আজ আটক শুনতে অবাক লাগছে। নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা তা মেনে নিতে পারছেনা। নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগ আইনের প্রতি প্রদ্ধাশীল। হাজার হাজার নেতাকর্মীদের দাবি প্রশাসন নিশ্চয়ই শুনতে পারছেন। আপনাদের কাছে দাবি আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে আমাদের প্রিয়নেতা আহসানুল ইসলাম রিমনকে নিঃশর্ত মুক্তি দিন।
এছাড়াও নরসিংদী শহর, সদর থানা, মাধবদী থানা, শিবপুর, রায়পুরা, পলাশ, মনোহরদী ও বেলাবো উপজেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।
সম্প্রতি, গত ২৯ নভেম্বর নরসিংদী সদর-১ আসনের প্রার্থীদের উদ্দেশ্য ” মাইরের উপর ঔষধ নাই” বলে জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমন বক্তব্য প্রদান করেন।
তার বক্তব্যটি গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা ২০০৮ এর পরিপন্থী বলে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ ওমর ফারুক বাদী হয়ে নরসিংদী মডেল থানায় ছাত্রলীগ সভাপতি রিমনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে একইদিনে একই ধারায় নরসিংদী-১ এর নির্বাচনী ইলেকটোরাল ইনকোয়ারী কমিটির সদস্য ও যুগ্ম জেলা জজ নাহিদুর রহমান নাহিদ আহসানুল ইসলাম রিমনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। নির্বাচনী আইন লঙ্ঘনের এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে কেনো আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছে ২৪ ঘন্টার মধ্যে লিখিত জবাব দিতে বলা হয়।
উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ওমর ফারুকের করা মামলায় শুক্রবার দুপুরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমনকে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করেন। পরে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২য় আদালত মোঃ মাহমুদুল হাসান খান এর আদালতে হাজির করলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরন করেন।
Leave a Reply