স্টাফ রিপোর্টার:

রাজধানীর তুরাগ থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে মোঃ মনিরুল ইসলাম প্রমাণ করেছেন যে, একজন পুলিশ কর্মকর্তা কেবল আইন প্রয়োগকারী নন, বরং একজন সমাজ গড়ার নেতৃত্বদায়ী মানবিক মানুষও হতে পারেন।

২০২৫ সালের ১৭ই জুন দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই তিনি আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় দৃঢ় অবস্থান নেয়ার পাশাপাশি জনবান্ধব পুলিশিং চালু করেছেন, যা এলাকাবাসীর কাছে ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।

অপরাধ দমনে দৃঢ়তা

ওসি মনিরুল ইসলামের নেতৃত্বে তুরাগ থানায় চুরি, ছিনতাই ও মাদকবিরোধী অভিযানে উল্লেখযোগ্য সাফল্য এসেছে। তার কঠোর নজরদারি ও গোয়েন্দা তথ্যভিত্তিক অভিযান পরিচালনার ফলে ইতোমধ্যে একাধিক মাদক ব্যবসায়ী ও চক্রকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।

মানবিক পুলিশিং: মানুষের পাশে মানবতার হাত

ওসি মনিরুল ইসলাম শুধু অপরাধ দমনেই নয়, বরং জনসেবামূলক কাজেও অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। অসহায় ও পথশিশুদের মাঝে খাদ্য ও বস্ত্র বিতরণ, স্কুলের সামনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, এবং দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে দাঁড়ানো— এসব কাজ তাকে সাধারণ মানুষের কাছে “ভরসার প্রতীক” হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।

খোলামেলা জনসংযোগ ও গণশুনানি

তিনি নিয়মিত গণশুনানি, ওপেন হাউজ ডে ও মতবিনিময় সভার আয়োজন করেন, যেখানে সাধারণ মানুষ সরাসরি থানায় এসে তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরতে পারেন। এতে জনগণের আস্থা বেড়েছে এবং পুলিশের সঙ্গে দূরত্ব কমেছে।

যুব সমাজের মাঝে সচেতনতা ও নেতৃত্ব

ওসি মনিরুল ইসলাম মাদক ও সন্ত্রাসবিরোধী সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন, স্কুল-কলেজে সেমিনার এবং যুবদের জন্য ইতিবাচক কার্যক্রমে অংশ নিয়ে তরুণ সমাজকে অপরাধমুক্ত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় দেখিয়েছেন।

একটি উদাহরণমূলক নেতৃত্ব

তুরাগ থানার ওসি হিসেবে মোঃ মনিরুল ইসলামের প্রশাসনিক দক্ষতা, কঠোর আইন প্রয়োগ, মানবিক মূল্যবোধ ও জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতা বর্তমান সময়ের পুলিশিংয়ের এক অনন্য মডেল। তার নেতৃত্বে তুরাগ থানা শুধু একটি থানা নয়, বরং হয়ে উঠেছে মানুষের আস্থা ও নিরাপত্তার একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল।