ভূরুঙ্গামারী প্রতিনিধি (কুড়িগ্রাম) মোঃ জাকারিয়া হোসেন
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারী উপজেলায় স্ত্রীর হাতে স্বামীর গলা কাটার চাঞ্চল্যকর একটি ঘটনা ঘটেছে। অভিযোগ উঠেছে, গতকাল রাতে মোঃ মঈনুদ্দিন (৩৫), যিনি সিঙ্গাপুর প্রবাসী, তার স্ত্রী অজ্ঞাত কারণে ব্লেড দিয়ে তার গলা কেটে দেন।
আহত ও চিকিৎসার বর্তমান অবস্থা
মঈনুদ্দিন নূর ইসলামের ছেলে এবং তার বাড়ি ভুরুঙ্গামারী উপজেলার ভোটহাট এলাকায়। গুরুতর অবস্থায় তাকে ভুরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
স্থানীয় প্রতিক্রিয়া ও পুলিশের বক্তব্য
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। স্থানীয়রা জানান, মঈনুদ্দিন সম্প্রতি সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফিরেছিলেন। তবে স্ত্রীর এই নৃশংসতার পেছনে কী উদ্দেশ্য রয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
ভুরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জানান, “ঘটনার তদন্ত চলছে। অভিযুক্ত স্ত্রীকে আইনের আওতায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আহত ব্যক্তির অবস্থা অত্যন্ত গুরুতর।”
পরিবার ও সমাজের উদ্বেগ:
মঈনুদ্দিনের পরিবার এবং স্থানীয়রা এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তারা স্ত্রীর এমন আচরণে হতবাক। পারিবারিক সহিংসতার এ ধরনের নৃশংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে সবাইকে সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা
এ ঘটনা আমাদের শিক্ষা দেয় যে পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধে সক্রিয় হওয়া জরুরি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও স্থানীয় প্রশাসনের উচিত অপরাধ প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া। পাশাপাশি পারিবারিক বিবাদ মীমাংসায় সামাজিক নেতৃত্ব ও কাউন্সেলিংকে গুরুত্ব দিতে হবে।
আইনি সচেতনতা ও প্রতিরোধ
বাংলাদেশের আইন বিভাগগুলোর প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে, পারিবারিক সহিংসতা প্রতিরোধে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি দ্রুত বিচার ও অপরাধীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা। এ ধরনের ঘটনা যাতে আর না ঘটে, সে জন্য আইনি প্রক্রিয়া আরও শক্তিশালী করা প্রয়োজন।
সমাজের প্রতি সতর্কবার্তা
সমাজে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখতে সকলেরই সচেতন হওয়া জরুরি। বন্ধুর শহর যেন আর কোনো পরিবারের জন্য বিভীষিকায় পরিণত না হয়, সে জন্য পরিবার থেকে শুরু করে সমাজের প্রতিটি স্তরে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
Leave a Reply