‘সৈয়দ শাহানা আক্তার প্রথম বুলেটিন
মহানুভবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার হাবিবুর রহমান বিপিএম (বার), পিপিএম (বার)। তিনি ডিএমপির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মেসের বাবুর্চি ও মেসবয়দের জন্য ‘রন্ধনের বন্ধনে’ নামে এক অনন্য আনন্দ আয়োজনের ব্যবস্থা করেন।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সের প্রশাসনিক ভবনের সামনে ১৪টি মেসের বাবুর্চি ও মেসবয়দের সাথে তিনি এক টেবিলে বসে খাবার খেলেন এবং তাদের সাথে মেতে ছিলেন গান, কবিতা আর গল্পে। সবমিলিয়ে মঙ্গলবার সন্ধ্যা যেন রূপ নিয়েছিলো এক মনমুগ্ধকর পরিবেশে।
আনন্দ আয়োজনে ডিএমপি কমিশনার বলেন, গত শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে আমি ফোর্সদের সাথে এক টেবিলে বসে খাবার খেয়েছি, খাবারের মান অত্যন্ত ভালো ছিলো। ভবিষ্যতেও প্রত্যেক মেসের বাবুর্চিদের রান্না মনিটরিং করা হবে। যাদের রান্না ভালো হবে তাদেরকে পুরস্কৃত করা হবে। রন্ধন একটি শিল্প। কোন কাজই ছোট নয়। বাবুর্চি হলেও আপনাদের কাজকে ছোট করে দেখার কোন অবকাশ নেই। সততা ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করতে হবে।
আনন্দ আয়োজনে ফোর্সবান্ধব কমিশনারকে কাছে পেয়ে যেন আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েন সবাই। প্রত্যেকের কথা অত্যেন্ত মন দিয়ে শুনেন তিনি। অনুষ্ঠানে প্রায় ২০০ জন বাবুর্চি ও মেসবয় উপস্থিত ছিলেন। তারা যার যার প্রতিভা দিয়ে গান, কবিতা ও গল্প শুনিয়ে মুগ্ধ করেছেন ডিএমপি কমিশনারকে। অনুষ্ঠান শেষে বাবুর্চি ও মেসবয়দের মধ্য থেকে র্যা ফেল ড্র’র মাধ্যমে ১০ জনকে পুরস্কৃত করা হয়।
এর আগে ডিএমপি কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার প্রথম দিনেই মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের মনোবল বাড়াতে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ লাইন্সের মেস, ব্যারাক ও ক্যান্টিন পরিদর্শন করেছিলেন এবং মেসে গিয়ে ফোর্সের সাথে এক টেবিলে বসে খাবার খেয়ে খাবারের মান যাচাই করেছেন কমিশনার।
এসময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) এ কে এম হাফিজ আক্তার বিপিএম (বার); যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (হেডকোয়ার্টার্স) সাইফুল্লাহ আল মামুন বিপিএম, পিপিএম-বার; উপ-পুলিশ কমিশনার (পিওএম-পূর্ব বিভাগ) সালমা সৈয়দ পলি ও উপ-পুলিশ কমিশনার (ওয়েলফেয়ার অ্যান্ড ফোর্স বিভাগ) আর এম ফয়জুর রহমান পিপিএম-সেবাসহ বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
Leave a Reply