এম এন রাব্বী
বিশেষ প্রতিনিধি :
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে আবু সাঈদ ও মুগ্ধর মতো হাজারো ছাত্র জনতার শহীদের বিনিময়ে সৈরাচারী সরকারের
পতন ঘটিয়ে দ্বিতীয় বারের মত স্বাধীন হয়েছে আমাদের এই প্রিয় বাংলাদেশ।
ঠিক তখনই জেগে ওঠে রংপুরে বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক সমাজ।
বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক আন্দোলনের মাধ্যমে প্রেসক্লাব রংপুরের সকল বৈষম্য দূরীকরণের জন্য মাঠে নামেন কর্মরত সকল সাংবাদিক গণ।
প্রেসক্লাব রংপুরের সকল বৈষম্য ও স্বেচ্ছাচারিতা প্রতিরোধে আগামী ৪৮ ঘন্টার আলটিমেটাম দিয়েছেন বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক আন্দোলন।
২৫ আগষ্ট রোববার দুপুর- ২:৩০ মিনিটে নগরীর কাচারী বাজার জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করেন তারা।
বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক আন্দোলন রংপুরের সমন্বয়কারি সাংবাদিক এস.এম জাকির হুসাইন এর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন সমন্বয়কারি শরিফা বেগম শিউলি, আতিকুর রহমান আতিক,শহিদুল ইসলাম, এনামুল হক স্বাধীন সহ বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক সকল নেতৃবৃন্দ।
এসময় বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক আন্দোলনের বক্তারা বলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট মরহুম এরশাদ সাহেব যখন ক্ষমতায় ছিলেন সেই সময় প্রেসক্লাব রংপুরের যায়গাটি নির্ধারণ করে ৫ম তলা বিশিষ্ট কমপ্লেক্স ভবনটির ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন,এবং রংপুরের কর্মরত সকল সাংবাদিকদের মিলনমেলায় পরিনত করার জন্য এই প্রেসক্লাব।
সকল সাংবাদিকের কল্যানে কাজ করবে এই প্রেসক্লাব।
সেই প্রেসক্লাব রংপুর বিগত পঞ্চম যুগে পদার্পন করলেও এখন পর্যন্ত হাতে গোনা ৩২ সদস্য নিয়ে সৈরাচারী চালিয়ে যাচ্ছে দৈতপেশার সাংবাদিক ও সৈরাচারী আওয়ামী সংগঠনে যুক্ত সাংবাদিকবর্গেরা।
এদিকে ৫৯ বছরেও ৫৯ সদস্যে অন্তরভূক্তী করন করতে সক্ষম হতে পারেনি তারা। নিজেরাই গঠনতন্ত্র সংস্করণ করে কালো আইন স্থাপন করে রংপুরের কর্মরত সকল সাংবাদিকদের বঞ্চিত রেখে,সরকারি প্রণোদনা সহ কমপ্লেক্সের দোকান ভাড়া ও পজিশন বিক্রি করে সেই অর্থ নিজেরাই ভোগদখল করে আসছে এই প্রেসক্লাব রংপুরের ৩২ সদস্য।
প্রেসক্লাব রংপুরের বিরুদ্ধে কথা বলতে গেলেই হামলা,মামলা সহ প্রেসক্লাব চত্বরে অবাঞ্ছিত ঘোষণাও করেছেন সময় টিভির ব্যুরো প্রধান সহ জাতীয় পত্রিকার অনেক সাংবাদিককেই।
বক্তারা আরও বলেন,৫৯ বছরের অনিয়ম বৈষম্য দুর করতে বর্তমান ফ্যাসিস্ট কমিটি বাতিল করে আহবায়ক কমিটি গঠন সহ জেলায় কর্মরত সকল সাংবাদিককে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। গঠনতন্ত্রে কালাকানুন ও কুক্ষিগত ক্ষমতার কারনে রংপুরে কর্মরত ইলেকট্রনিক,প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার মুলধারার ২ শতাধিক সাংবাদিক অধিকার বঞ্চিত ও বৈষম্যের শিকার। এছাড়াও সংগঠনটির নিয়মিত অডিট না হওয়ায় কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি সহ কমপ্লেক্সের দোকান ভাড়া ও পজিশন বিক্রির টাকার হিসেব চেয়ে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া না হলে, কঠোর কর্মসূচির হুশিয়ারি দেন বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক আন্দোলনের বক্তারা।
প্রেসক্লাব,রংপুরকে বৈষম্যমুক্ত করতে ৫ দফা দাবি সম্বলিত স্বারকলিপি জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনার মাধ্যমে অন্তর্বর্তী সরকার প্রধান এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা বরাবর প্রদান করেন বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দরা।