মাহমুদ সন্দ্বীপ প্রতিনিধি।
মুছাপুর ইউনিয়ন সহ কয়েকটি ইউনিয়নে ভারী বৃষ্টিপাতে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে, পানিবন্দি হয়ে পড়ছে সহাস্রাধিক পরিবার, এছাড়া পানির স্রোতে ভেঙেছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গ্রামীণ সড়ক এবং পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে রোপা আমন ও সবজি খেত।
এদিকে দীর্ঘদিন ধরে খাল সংস্কার না থাকায় ও অপরিকল্পিতভাবে স্থাপনা নির্মাণের কারণে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে জলাবদ্ধতা দেখা দেয় বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। রবিবার (১১ আগষ্ট ) মুছাপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সৈয়দ সুকানির নতুন বাড়ী, উজির আলীর বাড়ী, শাহাজান মাস্টারের বাড়ি, মাওলানা কামালের বাড়ি, মতিন মাস্টারের বাড়ি, মান্দির গৌ গোপট, পন্ডিতের হাট থেকে পশ্চিমে, কালি বাড়ি মন্দিরের পূর্বে ও পশ্চিমে, সহ কয়েকটি ইউনিয়ন ও রাস্তা ঘাটে সরোজমিন পরিদর্শন করে দেখা যায় সব পানিতে টুইটম্বুর হয়ে পড়ছে। স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে পারছেন না পানির কারণে।
জানা গেছে, টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে উপজেলার এনাম নাহার মোড়, দক্ষিণ মগধরা, আমানউল্লাহ পৌরসভা ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ড, সহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে জলাবদ্ধতা তৈরি হয়েছে। বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে বিভিন্ন সড়কে, সড়কে গর্তের কারণে অনেকটা চলাচলের অনুপযোগী হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে আছে মুছাপুরের বিভিন্ন বাড়িতে চুলায় পানি ওঠায় রান্নাও বন্ধ রয়েছে ।
মুছাপুরের শাহাজান মাস্টারের বাড়ির আল আমিন বলেন আমাদের বাড়ি ও রাস্তাতে, সেতারা বেগম ও আকলিমা বেগম বলেন বর্ষা আসলে আমরা পানি বন্ধী হয়ে পড়ি, তাতে কার ও কোন সহযোগিতা পায় না। আলিবাজার এলাকার এলাকার বাসিন্দা ফখরুল ইসলাম ও আশ্রাফ জানান, আমাদের বাড়ির পাশের খালটি দীর্ঘ অনেক বছর ধরে সংস্কার না হওয়ায় সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। এবং খালে বাঁধ ও আছে টানা বৃষ্টি হলে তো ভোগান্তির শেষ থাকে না। কোমর পরিমাণ পানির কারণে চলাচলে অনেক কষ্ট হচ্ছে।