মো: আকাশ হোসেন কুষ্টিয়া জেলা
একমাত্র ছেলের মৃত্যুতে যেন বাকরুদ্ধ বাবা-মা। সন্তানের মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর একবারই চিৎকার করে কেঁদেছিলেন মা ময়না খাতুন। এরপর বুকে পাথরচাপা দিয়েছেন। কোনো প্রশ্নের জবাব দেন না। কেউ কথা বললে শুধু তাকিয়ে থাকেন।
নিহত মারুফের বাবা শরিফ জানান, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় রাজধানীতে নিজের ভাড়া বাসার সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গুলিতে নিহত হন পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শেষ বর্ষের পরীক্ষার্থী মারুফ হোসেন (২০)। তিনি শেষ বর্ষের চূড়ান্ত পরীক্ষা দিয়ে ইন্টার্নি ও চাকরির খোঁজে গত জুলাই মাসের ১ তারিখে রাজধানী ঢাকায় যান। বন্ধুদের সঙ্গে বাড্ডা এলাকার একটি মেসে ওঠেন। ১৯’ জুলাই দুপুরে সে ওই বাসার সামনেই গুলিবিদ্ধ হন। আহত অবস্থায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পরদিন ২০ জুলাই সকালে খোকসা কেন্দ্রীয় পৌর ঈদগাহে জানাজা শেষে পৌর কবরস্থানে মারুফকে দাফন করা হয়।
নিহত মারুফ হোসেন কুষ্টিয়া জেলার খোকসা পৌর এলাকার থানাপাড়ার শরিফ উদ্দিনের একমাত্র ছেলে।
সরজমিন তাঁদের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, দুই কক্ষের চারচালা টিনের ঘরের বারান্দায় মা ময়না খাতুন বসে আছেন। তাকে নানা কথা বলে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করছেন প্রতিবেশীরা।