মোঃ মামুন খান বরিশাল প্রতিনিধি
বঙ্গোপসাগরের সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রেমাল গত ২৬ মে বাকেরগঞ্জে আঘাত হানে। উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় ঘূর্ণিঝড় রেমালে ক্ষতিগ্রস্ত প্রায় ৫শ’ কিলোমিটার সড়ক এখনো সংস্কার না হওয়ায় জনদুর্ভোগ বাড়ছে। শুধু সড়ক নয়, বেড়িবাঁধ, কালভার্ট, সেতুসহ গ্রামীণ অবকাঠামোর শতাধিক স্থাপনা মারত্মক ক্ষতিগ্রস্ত অবস্থায় রয়েছে। ঝড় শেষ হওয়ার দেড় মাস পরেও সংস্কারের উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
সরেজমিনে বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে দেখা যায়, ঘূর্ণিঝড় রেমালের তা-ব জলোচ্ছ্বাসে সড়কের কার্পেটিং উঠে গেছে। কোথাও কোথাও ইটের সলিংয়ের একাধিক স্থান ভেঙে সমতল জমির সঙ্গে মিশে গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে উপজেলার মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ১১টি নদীর বেড়িবাঁধ। নদীর তীরবর্তী সড়কগুলো নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। আবার কোথাও গ্রামীণ সড়ক বিলীন হয়ে গেছে। জলোচ্ছ্বাসে কিলোমিটারের পর কিলোমিটার গ্রামীণ রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভেঙে পড়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থা।
এতে ক্ষতির মুখে পড়েছে ব্যবসা-বাণিজ্য। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছে স্কুলগামী শিক্ষর্থীরা। উপজেলার পৌর এলাকাসহ ফরিদপুর, দুর্গাপাশা, কবাই, নলুয়া, চরাদি, চরামদ্দি এসব ইউনিয়নের মধ্যে যাতায়াতে মারাত্মক সমস্যায় পড়েছেন পথচারী ও এলাকাবাসী।
উপজেলা এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের মিয়া বলেন, ঘূর্ণিঝড়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের রাস্তাঘাটসহ নানা অবকাঠামোর ক্ষতি নিরূপণ করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত সংস্কারকাজ শুরু হবে।