today visitors: 5073432

পেনশন প্রত্যাহার আন্দোলনে মারামারি, আহত অন্তত ৫

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়

 

তানজিদ শাহ জালাল ইমন
ববি প্রতিনিধি

সার্বজনীন পেনশন ব্যবস্থার প্রত্যয় স্কিম প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের চলমান আন্দোলনে কর্মকর্তাদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। এতে কমপক্ষে ৫ জন আহত হয়েছেন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

আজ মঙ্গলবার (২ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে কর্মবিরতিতে থাকা কর্মকর্তাদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতরা বর্তমানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ শান্ত আছে বলে দাবি করেছেন বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা।

সর্বজনীন পেনশন স্কিম সংক্রান্ত বৈষম্যমূলক প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহারের দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২য় দিনের মতো সর্বাত্বক আন্দোলনের কর্মসূচি চলছে। অবস্থান ধর্মঘট ও কর্ম বিরতির কারণে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল বিভাগের ক্লাস ও পরীক্ষা বন্ধ রয়েছে।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ১০ টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে জড়ো হতে থাকেন শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, ক্যাম্পাস সংঘাতের সূত্রপাত হয়।সকাল ১১টায় দ্বিতীয় দিনের মতো লাগাতার আন্দোলন শুরুর সময় ক্যাম্পাসে সদ্য প্রতিষ্ঠিত ডিরেক্ট অফিসার অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তাদের সাথে  বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের ব্যানার টানানো ও বসার জায়গা নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হয়। এসময় উভয় পক্ষ সংঘাতে লিপ্ত হয়, করা হয় চেয়ার ছোড়াছুড়ি। এতে উভয় পক্ষের অন্তর ৫ জন জখম হয়। পরে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এসে পরিস্থিতি সামাল দেন এবং দুটি গ্রুপকে দুদিকে সরিয়ে দেন।

উভয় পক্ষ নিজেদেরকে সঠিক সংগঠন এবং অন্য পক্ষ আগে হামলা করেছে বলে দাবি করেছে। ক্যাম্পাসে এখনো থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। তাদের মতে, প্রতিপক্ষ চলমান আন্দোলনকে বিঘ্ন ঘটাতে এমন হামলা চালিয়েছে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি বাহাউদ্দিন গোলাপ বলেন, ‘চলমান আন্দোলনকে পেছন থেকে ছুড়িকাঘাত করার জন্যই পরিকল্পিতভাবে ওরা এ কাজ করেছে। ববি ক্যাম্পাসে অবস্থান করার জন্য তাদের কোনো অনুমোদনও নেই।’

এদিকে ডিরেক্ট অফিসার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুব্রত কুমার বাহাদুর বলেন, চলমান কর্মসূচী চলাকালে বিনা উসকানিতে তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে অফিসার্স অ্যাসোশিয়েশনের লোকজন। তারা এ হামলার নিন্দা জানান এবং বলেন, দাবি আদায়ের সংগ্রাম চলবে।

বরিশাল বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এম আর মুকুল বলেন, নিজস্ব অবস্থান নিয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই গ্রুপের কর্মকর্তারা পাল্টাপাল্টি হামলা চালায়। পরিস্থিতি কিছুটা অশান্ত হয়। পরে পুলিশ ও শিক্ষকদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।