today visitors: 5073432

মেডিকেল ভিসা সহজ করার আহ্বান বাংলাদেশ ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদের

রহিদুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহীঃ

রাজশাহীস্থ ভারতীয় সহকারি হাই কমিশনার মিস্টার মনোজ কুমারের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশ ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদ রাজশাহী বিভাগের নেতৃবৃন্দ।
মঙ্গলবার(৩ অক্টোবর) বেলা বারোটায় পরিষদের সভাপতি প্রকৌশলী শামসুল আলম বাংলাদেশ – ভারত ইতিহাস ও ঐতিহ্য পরিষদের সদস্য সচিব রাজশাহী প্রেসক্লাব ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সভাপতি সাইদুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সাক্ষাৎ করেন।
রাজশাহীস্থ ভারতীয় সহকারি হাই কমিশন কার্যালয়ে সাক্ষাৎকালে প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে মেডিকেল ভিসা প্রদানে জটিলতা দূর করার আহ্বান জানানো হয়।

সাক্ষাৎকালে নেতৃবৃন্দ আরোও বলেন, সাম্প্রতি ভারতীয় হাই কমিশন ভিসা প্রদানে যে নয়া নিয়ম চালু করেছে তাতে রোগীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। অনলাইনে আবেদন করার পর ভিসা পেতে তিন চার মাস সময় লাগছে। এর ফলে রোগীরা যথাসময়ে চিকিৎসা সেবা পেতে ব্যর্থ হচ্ছেন। প্রতিনিধি দলের পক্ষ থেকে বলা হয় গত এক বছরে ভারতে বাংলাদেশ থেকে কমপক্ষে ২৪ লাখ মানুষ চিকিৎসার জন্য গেছে। ভিসা প্রদানে জটিলতা দূর করা না গেলে বাংলাদেশের শতকরা ৮০ভাগ মানুষ ভারতের কাছ থেকে চিকিৎসা বঞ্চিত হবে এই জটিলতা দূর করে সহজে ভিসা প্রদানের আহ্বান জানানো হয়।

ক্যান্সার,কিডনি,লিভার,হার্টসহ বিভিন্ন জটিল রোগীদের ক্ষেত্রে এক সপ্তার মধ্যে ভিসা প্রদানের জন্যে মনোজ কুমারের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়। সহকারী হাই কমিশনার মনোজ কুমার মনোযোগ সহকারে প্রতিনিধি দলের বক্তব্য শোনেন তিনি বলেন দালালদের হাত থেকে রোগীদের রক্ষা করার জন্য ভিসা প্রদানে হাই কমিশন উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সঠিক কাগজপত্র সহ যথাযথভাবে আবেদন করলেই এক সপ্তাহের মধ্যেই ভিসা প্রদান করা হবে বলে প্রতিনিধি দলকে তিনি আশ্বাস দেন। এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট সকলের সর্বাত্মক সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন সকলের সহযোগিতা পেলে দালালদের হাত থেকে রোগীদের রক্ষা করা সম্ভব হবে এবং আবেদন করা মাত্রই দ্রুত ভিসা পাওয়া যাবে।

প্রতিনিধি দলের নেতৃবৃন্দ মনোজ কুমারকে ধন্যবাদ জানান এবং ভিসা প্রদানের জন্য একটি বড় ভিসা প্রসেসিং কেন্দ্র স্থাপনের দাবী জানান যেখানে গাদাগাদা করে মানুষকে লাইনে দাঁড়াতে হবে না, মানুষের বসার জায়গা থাকবে ভিসা পেতে আগ্রহী মানুষজন হয়রানির হাত থেকে রক্ষা পাবে।

মনোজ কুমার বলেন এরকম একটা বড় জায়গা আমরা খোঁজ করছি যেখানে মানুষ আর হয়রানি হবে না। সাক্ষাৎকার
চলাকালে দুইজন শিশুকে নিয়ে তাদের অভিভাবক মনোজ কুমার এর কাছে এসে বলেন তার দুটো শিশু জটিল রোগে আক্রান্ত। বই জমা দেয়ার জন্য ৩০ শে নভেম্বর তারিখ দেয়া হয়েছে অথচ তাদের এক সপ্তাহের মধ্যে ভারতে চিকিৎসা নিতে হবে তাদের কাগজপত্র দেখে মনোজ কুমার আগামীকালকে ব্যাংকে বই জমা দেয়ার তাৎক্ষণিক লিখিত নির্দেশ প্রদান করেন। প্রতিনিধি দলের ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুর রহমান ও জননেতা আতাউর রহমান স্মৃতি পরিষদের সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন মিন্টু বিদায়ের সময় মনোজ কুমার প্রতিনিধি দলকে বলেন বাংলাদেশের মানুষকে আমরা সব সময় সহযোগিতা দিতে চাই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *