অনলাইন ডেস্ক
২০ মার্চ ২০২৪, ০৩:৪৬ পিএম | অনলাইন সংস্করণ
ওয়েলসের রাজকুমারী কেট মিডলটন
ব্রিটেনের ওয়েলসের রাজকুমারী কেট মিডলটন চলতি মাসের শেষের দিকে জনসম্মুখে ফিরছেন বলে মনে করা হচ্ছে। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে প্রকাশ্যে দেখা যায়নি তাকে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের এক প্রতিবেদন অনুসারে, রাজপরিবারের লোকজন চেষ্টা করছেন যাতে ৪২ বছর বয়সি রাজকুমারীকে ইস্টার সানডে উপলক্ষে ‘স্বাভাবিক জীবনে’ (সফট রিটার্ন) ফেরানো যায়।
Advertisement
জানুয়ারিতে কেট মিডলটনের তলপেটে অস্ত্রোপচার হয়। তারপর থেকে লোকেরা তাকে আনুষ্ঠানিক কিংবা অনানুষ্ঠানিকভাবে কোথায় দেখেনি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হওয়ার পরই ফিরে আসবেন।
অবশেষে সামনে আসছেন কেট মিডলটন!
টাইমস এর প্রতিবেদন অনুসারে, কেনসিংটন প্রাসাদের কর্মকর্তারা এবং কেট মিডলটন ইস্টার সানডে-তে গির্জায় তার সম্ভাব্য হাঁটার বিষয়ে আলোচনা করছেন। ইতোমধ্যে জনসাধারণের দৃষ্টি থেকে মিস মিডলটনের অনুপস্থিতি অনেক গুঞ্জনের জন্ম দিয়েছে।
এর আগে আরেক ব্রিটিশ ডেইলি দ্য সান একটি ভিডিও প্রকাশ করে। যেখানে কেট মিডলটনকে তার স্বামী প্রিন্স উইলিয়ামের সাথে একটি কৃষি মার্কেটে হাঁটতে দেখা যায়।
জানুয়ারিতে কেট মিডলটন চিকিৎসাজনিত কারণে লোকচক্ষুর আড়ালে গেলে গুঞ্জন উঠে যে, কেট ও উইলিয়াম দম্পতি বিবাহ-বিচ্ছেদের দিকে যাচ্ছেন। আর এ বিচ্ছেদের নেপথ্যে হানবুরির সঙ্গে উইলিয়ামের অবৈধ সম্পর্ক।
যদিও এমন একটি গুঞ্জন চার বছর ধরেই ঘুরে বেড়াচ্ছিল। কেট মিডলটন লোক-চক্ষুর অন্তরালে থাকায় বিষয়টি আরও জোরাল হয়ে উঠেছে। ব্রিটিশ মিডিয়ায় আলোচিত হচ্ছে লেডি রোজ হানবুরির নামটি।
কেট মিডলটনের অনুপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগে প্রিন্সেস ডায়ানার ভাই
এ বিষয়ে সোমবার গ্ল্যামারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দ্য সান পত্রিকার একটি প্রতিবেদনের জেরে রোজ হানবুরির উপাখ্যানটি শুরু হয়েছিল ২০১৯ সালের মার্চে। খবরটির বিষয়বস্তু ছিল এমন- কেট মিডলটন তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু রোজ হানবুরির সঙ্গে মারাত্মক কলহে জড়িয়েছেন।
সেই সময় একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র দাবি করেছিল, উইলিয়ামের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জের ধরেই কেট এবং হানবুরির সম্পর্কের মারাত্মক অবনতি ঘটেছে। উইলিয়াম অবশ্য চেষ্টা করেছিলেন—হানবুরি এবং তার চলচ্চিত্র নির্মাতা স্বামী ডেভিড চলমন্ডেলির সঙ্গে কেটের সম্পর্ক যেন ভেঙে না যায়।
সেই সময়টিতেই আবার ব্রিটিশ কলামিস্ট জাইলস কোরান এক টুইটে হানবুরির সঙ্গে উইলিয়ামের সম্পর্কের ইঙ্গিত করেছিলেন। যদিও পরে ওই টুইটটি তিনি মুছে ফেলেছিলেন। টুইটে তিনি লিখেছিলেন- ‘এই সম্পর্কের কথা সবাই জানে।’
এ বিষয়ে দ্য ডেইলি বিস্ট এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল, জাইলসকে ওই টুইটটি মুছে ফেলতে ব্রিটিশ রাজ প্রাসাদ থেকে চাপ দেওয়া হয়েছিল।
যুক্তরাজ্য